—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইরানের সংস্থার কাছে পারমাণবিক-সম্পর্কিত নকশা বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন মুম্বইয়ের ভুয়ো পরমাণু বিজ্ঞানী আখতার হুসেইনি! তিনি নিজেকে ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হিসাবে পরিচয় দিতেন সকলের কাছে। আখতার এবং তাঁর ভাই আদিল হুসেইনিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার সেই তদন্তে উঠে এল ইরান-যোগ!
তদন্তকারী এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘এনডিটিভি’ জানিয়েছে, ভিপিএন এবং এনক্রিপ্টেড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আখতার লিথিয়াম-৬ চুল্লির জন্য তৈরি নকশা ইরান সংস্থার কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন! মার্চ এবং এপ্রিলে দুই ভাই তেহরানেও গিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ভারত এবং দুবাইয়ে ইরানের দূতাবাসেও গিয়েছিলেন বেশ কয়েক বার।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, মুম্বই-ভিত্তিক এক ইরানি কূটনীতিককে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়েছিলেন আখতারেরা। তাঁকে জাল তথ্য এবং লিথিয়াম-৬ চুল্লির নীলনকশা দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেন। ওই নকশা দেওয়ার পরিবর্তে তিনি সংশ্লিষ্ট গবেষণায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
ওই সূত্রের আরও দাবি, দুই ভাই ইরানি সংস্থার কাছে জানান, প্লাজমা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য লিথিয়াম-৬-এর ‘ফিউশন রিঅ্যাক্টর প্রোটোটাইপ’ তৈরি করছেন। যদিও তাঁর কার্যকারিতা প্রমাণ করার মতো কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি। দুই অভিযুক্তই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য পারমাণবিক চুল্লি, আইসোটোপ রসায়ন, প্লাজ়মার গতিবিধির মতো জটিল বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।
আখতার এবং আদিল— দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিদেশিদের কাছে দেশের ‘গোপন পারমাণবিক তথ্য’ পাচার করতেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, এ ভাবে নাকি গত ৩০ বছরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।