— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকেই খুন! বৃহস্পতিবার কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে। ২০২২ সালে মোহামম্দ ফাজ়িলকে খুনে অভিযুক্ত সুহাস শেঠিকে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করেছেন অজ্ঞাতপরিচয় এক দল আততায়ী। ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। আগামী ৬ মে পর্যন্ত শহর জুড়ে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নিহত সুহাসের বয়স ত্রিশের কোঠায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রকাশ্য রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। অন্তত পাঁচ জন আততায়ী ছিলেন। গোটা ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সুহাস স্থানীয় একটি হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে। অন্য দিকে, সুহাসের খুনের পর থেকেই শহরের সীমানা জুড়ে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএএসএস)-এর ১৬৩ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ম্যাঙ্গালুরু সিটি পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে কোনও রকম জনসমাবেশ, জমায়েত কিংবা মিছিল করা যাবে না। অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন কোনও জিনিসও বহন করা নিষিদ্ধ।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এই খুনকে ‘ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের ধারণা, আক্রমণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল, যদিও এর উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের খুঁজতে চারটি পৃথক দলও গঠন করা হয়েছে।
২০২২ সালে ম্যাঙ্গালুরুতে খুন হন বিজেপির যুব-কর্মী প্রবীণ নেত্তারু। সেই ঘটনার দিনকয়েক পরেই ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মদ ফাজ়িলের দেহ মেলে। ফাজ়িলের খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন সুহাস। সে সময় ফাজ়িলের হত্যাকে ‘প্রতিশোধমূলক হত্যা’ বলতে শুরু করেছিলেন অনেকে। ওই জোড়া খুনের পরেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ম্যাঙ্গালুরুতে।