রামনবমীর উৎসবে এ বার কার্যত নায়কের আসনে বসল হত্যায় অভিযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মহম্মদ আফরাজুলকে হত্যায় অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগর এখন জোধপুর জেলে। কিন্তু রাজস্থানের ওই শহরেই রামনবমীর দিনে রীতিমতো তার মতো দেখতে এক ব্যক্তির ছবি নিয়ে ট্যাবলো বের হল।
ডিসেম্বরে মহম্মদ আফরাজুলকে খুন করার পরে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল শম্ভুলাল রেগর। তার মধ্যে একটি ভিডিয়োতে শম্ভুলাল দাবি করে, ‘লাভ জেহাদ’-এ যুক্ত থাকার জন্যই আফরাজুলকে খুন করেছে সে। ঘটনায় সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও ঘটনার নিন্দা করেছিলেন।
কিন্তু ‘লাভ জেহাদ’ অর্থাৎ মুসলিমযুবকদের একাংশের বিরুদ্ধে হিন্দু মেয়েদের ‘ফাঁদে’ ফেলার চেষ্টার তত্ত্বের প্রচারক আরএসএসের একাংশ। ফলে শম্ভুলালের পিছনেও সঙ্ঘের মদত রয়েছে বলে নানা শিবির থেকে অভিযোগ ওঠে। এ দিন রামনবমীর মিছিলের ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার ফলে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জোধপুরের মিছিলে ওই ট্যাবলোর আয়োজন করেছেন জোধপুরের শিবসেনা নেতা হরি সিংহ পনওয়ার। তাতে কুঠার হাতে শম্ভুলালের মতো দেখতে এক জনের ছবি রয়েছে। ছবিতে ওই ব্যক্তি সিংহাসনের মতো একটি চেয়ারে বসে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়োতে শম্ভুলাল যেমন পোশাক পরেছিল ওই ব্যক্তির পরনেও তেমনই পোশাক রয়েছে। শিবসেনা নেতা পনওয়ার সাফ বলেছেন, ‘‘হিন্দুত্বের প্রতি শম্ভুলালের দায়বদ্ধতা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। অন্য কারও ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাইনি।’’
শম্ভুলালের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন পনওয়ার। তাঁর কথায়, ‘‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু শম্ভুলাল হিন্দুদের নিজেদের ধর্ম ও লাভ জেহাদ সম্পর্কে সচেতন করেছে। লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করা প্রয়োজন।’’ জোধপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আমনদীপ সিংহের বক্তব্য, ‘‘আমরা সংবাদমাধ্যমে এই ট্যাবলোর খবর দেখেছি। কেউ অভিযোগ করলে পদক্ষেপ করা হবে।’’