মেরঠে এ বার জমি জেহাদের নালিশ

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেরঠ শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৪
Share:

‘লাভ জেহাদ’-এর পরে এ বার ‘ল্যান্ড জেহাদ’। মুসলিম যুবকের সঙ্গে হিন্দু মেয়ের বিয়েকে ঘিরে লাভ জেহাদের অভিযোগে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। এ বার হিন্দু পাড়ায় মুসলিম পরিবার বাড়ি কেনায় উঠল ল্যান্ড জেহাদের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি এবং বজরং দল। ‘ল্যান্ড জেহাদ’ বা জমি জেহাদ—অর্থাৎ পরিকল্পনা করে হিন্দু পাড়ায় জমি-ঘরবাড়ি কিনে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ।

Advertisement

ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মেরঠের। বাবা-মা-কাকা এবং চার ভাইবোনকে নিয়ে একটি কলেজ চত্বরের এক কামরার ঘরে থাকেন ৩২ বছরের উসমান আহমেদ। এই মাসের গোড়ায় পরিবারটি মেরঠের মালিওয়াড়া এলাকায় সঞ্জয় রাস্তোগি নামে এক ব্যবসায়ীর একটি দোতলা বাড়ির একটি অংশ কেনেন।

উসমানের বাবা একটি স্কুলে চাকরি করেন। ইঞ্জিনিয়ার উসমানের অভিযোগ, ‘‘আমাদের নিজেদের একটি বাড়ি চাই। এক কামরার ঘরটিতে আমাদের স্থান সমস্যা হচ্ছিল। আমরা এই সম্পত্তিটি কিনেছি। কিন্তু কিছু লোক আমাদের বিরুদ্ধে জমি জেহাদের অভিযোগ এনেছেন।’’

Advertisement

২৮ লক্ষ টাকায় কেনা ওই সম্পত্তি নথিভুক্ত হয় উসমানের বড় ভাই নৌমানের নামে। গত রবিবার নতুন বাড়িতে থাকতে গিয়েছিলেন উসমানরা। ছিলেন সঞ্জয়ও। উসমানের অভিযোগ, তখন কিছু লোক এসে বাড়ি বিক্রির বিরুদ্ধে জন্য বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা সঞ্জয়কে জানান, হিন্দু পাড়ায় কোনও মুসলিম পরিবারকে সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না। চলে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মার দাবি, হিন্দুরা সম্পত্তি বেচছেন, আর মুসলিমরা কিনছেন। দীপকের অভিযোগ, ‘‘এটা শুরু হচ্ছে বাড়ি কেনা দিয়ে। আস্তে আস্তে গোটা এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত হয়ে পড়বে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ মেরঠের বজরং দলের আহ্বায়ক বলরাজ দুঙ্গাও এই বিষয়টিকে জমি জেহাদ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, হিন্দু পাড়ায় মুসলিমদের সম্পত্তি কেনার পিছনে ‘কুমতলব’ রয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। উসমানের পরিবারও জানিয়েছে, তারা কোনও অশান্তি চায় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন