হৃদ্‌রোগে মৃত্যু বন্দি মুম্বই-চক্রী দোসার

মুম্বইয়ের পাইধোনি এলাকার এক তেল ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে দোসা। বড় ভাই মহম্মদ দোসা সাতের দশকের শেষে মাফিয়া ডন হাজি মস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চোরাচালান শুরু করেছিল। তার পরেই সেই ব্যবসায় ভিড়ে যায় মুস্তাফাও। আশির দশকে দাউদ ইব্রাহিমের মতো দুবাইয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় দোসা ভাইরাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:৪১
Share:

মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী মুস্তাফা দোসা।

দিন বারো আগে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। আজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী মুস্তাফা দোসা (৫৭)।

Advertisement

মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতালের ডিন টি পি লাহানে জানান, দোসার ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের সমস্যা ছিল। বুকে ব্যথা হওয়ায় তাকে আর্থার রোড জেল থেকে আজ ভোর তিনটে নাগাদ জে জে হাসপাতালের জেল ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। দুপুর সেখানেই মারা যায় সে। তার দুই স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান আছে।

মুম্বইয়ের পাইধোনি এলাকার এক তেল ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে দোসা। বড় ভাই মহম্মদ দোসা সাতের দশকের শেষে মাফিয়া ডন হাজি মস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চোরাচালান শুরু করেছিল। তার পরেই সেই ব্যবসায় ভিড়ে যায় মুস্তাফাও। আশির দশকে দাউদ ইব্রাহিমের মতো দুবাইয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় দোসা ভাইরাও।

Advertisement

আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা সফল করতে মরিয়া ভারত

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ‘বদলা’ নেওয়ার ষড়যন্ত্রে গোড়া থেকেই যুক্ত ছিল দোসা ভাইরা। মহম্মদ দোসার দুবাইয়ের বাড়িতেই চক্রীদের প্রথম বৈঠকটি হয়। পরে দাউদের নির্দেশে মুস্তাফা রায়গড় জেলার দিঘিতে এক দফা অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে। পরের দু’বার অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছিল আর এক অভিযুক্ত টাইগার মেমন। রায়গড়ে নামানো অস্ত্রশস্ত্রের সম্ভার থেকে কয়েকটি এ কে-৫৬ রাইফেল টাইগারকেও দিয়েছিল দোসা। বিস্ফোরণের দিন বৃন্মমুম্বই পুরসভা ও অন্য এলাকায় সেগুলি ব্যবহার করা হয়। কয়েক জনকে জঙ্গি কার্যকলাপে প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেছিল সে।

১৪ বছর ধরে আর্থার রোড জেলে মুস্তাফাই ছিল সবচেয়ে ধনী বন্দি। অনেক ক্ষেত্রেই জেলরক্ষীদের ঘুষ দিয়ে সে নানা সুযোগসুবিধা আদায় করে নিত বলেও অভিযোগ।

কে মুস্তাফা?

১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে অন্যতম চক্রী

খুন, ষড়যন্ত্র, জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ

২০০৩ সালে আমিরশাহি থেকে প্রত্যর্পণ

২০১৭ সালের ১৬ জুন দোষী সাব্যস্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন