Temple

প্রসাদ হিসাবে এই মন্দিরে দেওয়া হয় মটন বিরিয়ানি

এ রকম মন্দিরও ভারতে আছে যেখানে প্রসাদ হিসাবেই দেওয়া হয়ে থাকে সুস্বাদু মাটন বিরিয়ানি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

মাদুরাই শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:০১
Share:

মুনিয়ান্ডি মন্দিরের উৎসবে দেওয়া হয় মটন বিরিয়ানি। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত।

বিরিয়ানি খেতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু এ রকম মন্দিরও ভারতে আছে যেখানে প্রসাদ হিসাবেই দেওয়া হয়ে থাকে সুস্বাদু মটন বিরিয়ানি।

Advertisement

তামিলানাড়ুর মাদুরাই জেলার ভারাক্কামপাত্তি গ্রামের স্থানীয় দেবতা মুনিয়ান্ডি। সেই দেবতার মন্দিরেই প্রতি বছর আয়োজিত হয় একটি উৎসব। ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ীরা সেই মেলার ব্যবস্থাপনা করে থাকেন। তারাই দেবতার প্রসাদ হিসাবে সাধারণ মানুষকে মটন বিরিয়ানি বিলি করে থাকেন।

ওই অঞ্চলের হোটেল ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস মুনিয়ান্ডি মন্দিরের এই উৎসবে মাটন বিরিয়ানি বিলি করলে আরও সমৃদ্ধ হবে তাঁদের হোটেল ব্যবসা। এ জন্য প্রায় ১ হাজার ৫০০ হোটেল ব্যবসায়ী এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। শুধুমাত্র ওই এলাকার বা তামিলনাড়ুর হোটেল ব্যবসায়ী নয়। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক ও পুদুচেরী থেকেও অনেক হোটেল ব্যবসায়ী এতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

Advertisement

প্রসাদে বিরিয়ানির দেওয়ার এই প্রথা ইদানীং কালে জনপ্রিয় হলেও তা শুরু হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। ভারাক্কামপাত্তি গ্রামের গুরুস্বামী নায়ডু নামের এক ব্যক্তি। করাইকুড়িতে একটি হোটেল খোলেন। তারপর রমরমিয়ে চলতে থাকেন তাঁর হোটেল। নায়ডুর পথে হেঁটে সাফল্য পান সুন্দর রেড্ডিও। তারপর থেকেই মুনিয়ান্ডি দেবতার উপর বিশ্বাস বাড়ে তাঁদের। শুরু হয় বিরিয়ানি প্রসাদের চল।

১৯৭০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। সাধারণত রেড্ডি ও নায়ডু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেন। এ বারেও আয়োজিত হয়েছিল মুনিয়ান্ডি দেবতার দু’দিনের সেই উৎসব। সেই উৎসবে বানানো হয়েছিল ২ টন চালের বিরিয়ানি। সেই বিরিয়ানি প্রসাদ খেয়েছেন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।

আরও পড়ুন: সেনাদের খাবার বিলি করছেন সাধারণ কাশ্মীরিরা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন