গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোনম যখন বারাণসী থেকে গাজ়িপুরে এসেছিলেন, তখন মুখ ঢাকা দুই যুবক তাকে বাসে তুলে দিতে আসে। সোনমের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরে ওই বাসে সোনমের সহযাত্রী মহিলা উজালা যাদব রাজার পরিবারকে ফোনে যোগাযোগ করে সেই কথা জানান। তার ভিত্তিতে রাজার পরিবার দাবি করল, সোনম ও রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ধৃত তিন হত্যাকারী ছাড়াও আরও দু’জন জড়িত ছিল। তাদের পরিচয় খুঁজে বার করুক পুলিশ।
উজালা জানিয়েছেন, বারাণসী থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার সময়ে তিনি বাসে সোনমের পাশে বসেছিলেন। ৭ জুন রাত ১০.৩০ মিনিটে বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠেন তিনি ও সোনম। দুই মুখোশধারী সোনমকে বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। বাসে সোনম শান্ত হয়েই বসেছিল। খাচ্ছিল আমের রস। উজালার কাছে গোরক্ষপুরের বিষয়ে জানতে চায় সে। বাস ছাড়ার পরে উজালা মোবাইলে রাজা-সোনমের খবর দেখছিলেন। তা দেখতে পেয়ে ওড়নায় মুখ ঢাকা সোনম আগ বাড়িয়ে তাঁকে বলে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় খবর দেখা মানেই সময় নষ্ট। উজালা তখন সোনমকে চিনতে পারেননি। পরের দিন সকালে গাজিপুরে সোনমের আত্মসমর্পণের খবর টিভিতে দেখে তিনি সব বুঝতে পারেন। রাজার ভাই সচিন রঘুবংশীর দাবি, বোঝাই যাচ্ছে ঘটনাও আরও লোক জড়িত। সোনমরা সব তথ্য প্রকাশ করেনি।
এ দিকে উজ্জয়িনীর শিপ্রা নদীতে রাজার পিণ্ডদান করল পরিবার। পিণ্ডদান করেন দুই ভাই বিপিন ও সচিন। সেখানে ছিলেন সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশীও।
মেঘালয় পুলিশের কাছে জেরায় সোনম জানিয়েছে, তাকে জোর করে বিয়েতে বসতে বাধ্য করা হয়েছিল। রাজও সে কথা বলেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গোবিন্দ বলেন, “আমি সোনমের উপরে নজর রাখতাম। কখনও রাজের সঙ্গে আচরণ অসঙ্গত লাগেনি। ওদের সম্পর্ক নিয়ে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। তেমন আঁচ পেলে এই বিয়ে দিতাম না।”
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে