শ্বশুর-খোঁচা মোদীর, নায়ডুর হাতিয়ার স্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর তরজা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৯
Share:

-ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রী এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর তরজা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেল।

Advertisement

আজ গুন্টুরে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজয়ওয়াড়ায় চন্দ্রবাবু নায়ডুর চাপানউতোরকে এ ভাবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির। আগামিকাল থেকে এই দ্বৈরথের আঁচ আরও বাড়িয়ে নয়াদিল্লির অন্ধ্রভবনে সপার্ষদ ধর্নায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদা চেয়ে এক দিনের অনশনও করবেন।

আজ সকালে গুন্টুরে ‘প্রজা চৈতন্য সভায়’ বক্তৃতা দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘তিনি (নায়ডু) তাঁর শ্বশুরের (এন টি রাম রাও) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। শ্বশুরকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছিলেন।’’ বিকেলে বিজয়ওয়াড়ার জনসভায় চন্দ্রবাবু নায়ডু যশোদাবেনের প্রসঙ্গ তুলে বসেন। বলেন, ‘‘মোদীর কোনও পরিবার নেই। পরিবারকে তিনি সম্মান করেন না। অথচ স্ত্রীকে ডিভোর্স-ও দেননি। এদিকে তিন তালাক-বিরোধী আইন এনে মুসলমান নারীদের ন্যায় দিতে চাইছেন।’’

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এই ব্যক্তিগত আক্রমণের পরে পরিস্থিতি আরও সংঘাতপূর্ণ হতে পারে। সকাল থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশে মোদী-বিরোধী পোস্টার এবং কার্টুনচিত্র ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিরোধিতার সেই উত্তপ্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে নায়ডুকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, ‘‘উনি নিজেকে সিনিয়র বলে পরিচয় দেন। কিন্তু আদতে রাজনীতিতে সঙ্গী বদলানোর ব্যাপারে সিনিয়র। এক গোষ্ঠী ছেড়ে অন্য একটি গোষ্ঠীতে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ দড়। নিজের শ্বশুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারার ব্যাপারে বেশ দক্ষ। আপনি একের পর এক নির্বাচনে হারার ব্যাপারেও বেশ দক্ষ।’’ ছেলে না অন্ধ্রপ্রদেশ, কার জন্য রাজনীতি করছেন চন্দ্রবাবু তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় বলেন, ‘‘আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আপনার জমানায় অন্ধ্রপ্রদেশে সূর্যোদয় হবে। কিন্তু আপনি সেই সান (সূর্য) ছেড়ে নিজের সান (ছেলে)-কেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। স্বজনপোষণ করেছেন।’’

পাল্টা চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর তো কোনও ছেলেই নেই। পরিবার নেই। আমি পারিবারিক সম্পর্কে বিশ্বাস করি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কি কোনও সম্মান রয়েছে? আপনারা জানেন ওঁর একজন স্ত্রী রয়েছেন ?’’ এরপরই তিন তালাকের প্রসঙ্গ তুলে নায়ডু অভিযোগের স্বরে জানিয়েছেন, মোদী যশোদাবেনকে ডিভোর্স পর্যন্ত দেননি।

আগামিকাল দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন চন্দ্রবাবু। এরপরে ১৪ ফেব্রুয়ারি যন্তরমন্তরে অ-বিজেপি দলগুলির একটি ধর্না-সমাবেশের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তাঁর। সূত্রের বক্তব্য, যে দলগুলি কলকাতায় ব্রিগেডে হাজির ছিল, তাদের প্রতিনিধিরা থাকতে পারেন যন্তরমন্তরেও। চন্দ্রবাবু ছাড়াও থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীবালেরা। তবে এ কথাও রাজনৈতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে যে ওই সমাবেশে কংগ্রেসের যোগ দেওয়া এখনও নিশ্চিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন