রাফাল-দুর্নীতি প্রমাণ করুন, রাহুলকে কড়া চ্যালেঞ্জ মোদীর

রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে আগামিকাল সংসদে আলোচনা হতে পারে। তার আগে রাহুল গাঁধীর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৭
Share:

রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে আগামিকাল সংসদে আলোচনা হতে পারে। তার আগে রাহুল গাঁধীর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, রাহুলের অভিযোগে যদি তাঁর বিরুদ্ধে হয়, তা হলে কংগ্রেস সভাপতি সেটা প্রমাণ করুন। মোদী জানিয়েছেন, অগুস্তা কপ্টার দুর্নীতিতে ‘মিসেস গাঁধী’ নিয়ে বিজেপি যে-প্রচার করছে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই।

Advertisement

রাফাল-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাহুল লাগাতার বিঁধছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান ইতিমধ্যে ‘জনপ্রিয়’। আক্রমণের মুখে প্রায় প্রতি সভাতে মোদীকে বোঝাতে হচ্ছে, ‘চৌকিদার’ এখন আরও সজাগ, তাই তাঁকে ‘চোর’ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আজ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, রাফাল নিয়ে রাহুলের অভিযোগ, আপনিই নাকি শিল্পপতি ‘বন্ধু’ অনিল অম্বানীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে ফ্রান্সকে চাপ দিয়েছেন? মোদীর জবাব, ‘‘এটা আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও অভিযোগ নয়। অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে খোঁজ করে বলুন, কে করেছেন (দুর্নীতি), কোথায় করেছেন? শুধু পাথর ছুড়ে, কাদা ছিটিয়ে পালিয়ে যাবেন না। যোগসাজশ প্রমাণ করুন।’’ এর পর মোদীর তির্যক মন্তব্য, ‘‘সংসদে বলেছি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে সব বিষয়ে শুনানি হয়েছে। এর পরেও কারও বলার রোগ থাকলে আমি কেন বারবার তাতে পা দেব!’’

প্রধানমন্ত্রীর মতে, রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসলে সেনাকে দুর্বল করার ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার অপরাধ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র চেষ্টা করে বিদেশ থেকে ‘সওদাবাজি’ বন্ধ করতে চেয়েছি। আমি স্থির করেছি, গালি খেয়েও ইমানদারির পথে সেনার জন্য যা প্রয়োজন, তা করব। মিথ্যা অভিযোগের জন্য সেনাকে দুর্বল করতে পারব না।’’

Advertisement

কংগ্রেস অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই। ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই বলেছেন, অনিল অম্বানীকে বরাত দেওয়ার চাপ দেওয়া হয়েছিল। হ্যালের প্রাক্তন কর্তাও বলেছেন, রাফাল তৈরিতে তাঁরা সক্ষম ছিলেন। তা সত্ত্বেও কাউকে না জানিয়েই প্রধানমন্ত্রী একতরফা সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেস প্রশ্ন, রাফাল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে এড়াচ্ছেন কেন প্রধানমন্ত্রী? কেনই বা ক্রিশ্চিয়ান মিশেলকে চাপ দিয়ে গাঁধী পরিবারকে বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে!

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, মিশেল ‘মিসেস গাঁধী’র নাম নিয়েছেন, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে রয়েছে। তাঁর কাছে কোনও রিপোর্ট নেই। কংগ্রেসের প্রশ্ন, তা হলে কিসের ভিত্তিতে বিজেপি প্রচার করছে, মিশেল ‘মিসেস গাঁধী’র নাম নিয়েছেন? মোদীর ইশারাতেই ইডি কোনও প্রমাণ ছাড়াই আদালতে ‘মিসেস গাঁধী’, বিজেপি নেতারা ‘বিগ নেম আর’ ভাসিয়ে রাজনীতি করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন