এখানে পৌঁছেছি চা বিক্রি করে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, দারিদ্র-মুক্ত ভারতই তাঁর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছরের মধ্যে ভারত দারিদ্র দূরীকরণে সফল হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিয়াধ শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

সাক্ষাৎ: গাঁধীনগরে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবারেই সৌদি আরব সফর সেরে গুজরাত গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই

দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে বলতে গিয়ে আবার নিজের চা বিক্রির প্রসঙ্গ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সৌদি আরব সফরে তাঁর দাবি, জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে দারিদ্র সম্পর্কে জেনেছেন। তাই দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর প্রচেষ্টা পুরোপুরি আন্তরিক।

Advertisement

সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন আয়োজিত ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’-এ গত কাল যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে ভারতের দারিদ্র দূরীকরণের বিষয়টি উঠেছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে বলেন, ‘‘কোনও বড় রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসিনি। দারিদ্র সম্পর্কে বই পড়ে আমাকে জানতে হয়নি। জেনেছি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। রেলস্টেশনে চা বিক্রি করে আজ এখানে পৌঁছেছি।’’

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, দারিদ্র-মুক্ত ভারতই তাঁর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছরের মধ্যে ভারত দারিদ্র দূরীকরণে সফল হবে। দারিদ্রের বিরুদ্ধে আমার লড়াই গরিব মানুষদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে। গরিব মানুষদের মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন। এক জন গরিব মানুষ যখন বলেন, তিনি নিজের দারিদ্র নিজেই দূর করবেন, তখন এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কিছু নেই। আমাদের কাজ ওই মানুষটিকে যোগ্য সম্মান দেওয়া এবং তাঁর ক্ষমতায়ন।’’

Advertisement

মোদী দাবি করেছেন, শৌচালয় নির্মাণ ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত গরিবদের ক্ষমতায়নে

সহায়ক হয়েছে। ভারতে যখন পরিবর্তন ঘটে, তখন বিশ্বের পরিসংখ্যান বদলে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর এ বারের সফরে তেল ও গ্যাস, প্রতিরক্ষা এবং বিমান পরিবহণ-সহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করেছে ভারত এবং সৌদি আরব। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় বিশেষ জোর দিয়েছে উভয় দেশ। দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোর দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও জাতি, ধর্ম এবং সংস্কৃতির যোগ নেই।’’ কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে সই

হওয়া চুক্তিগুলি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখভালের জন্য ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল’ গঠন করবে দুই দেশ। মোদী এবং সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নেতৃত্বাধীন ওই কাউন্সিল দু’বছর অন্তর বৈঠক করবে। চলতি বছর বা আগামী বছরের প্রথম দিকে দুই দেশের নৌসেনার যৌথ মহড়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন