Narendra Modi

ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণে খোঁচা

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইটার হ্যান্ডলে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত দশটি সদ্যোজাতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আজ ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১২
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা জেলা হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মৃত সদ্যোজাতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের পরিবারগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ‘প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল’ থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করার পরেই ‘পিএম কেয়ার্স তহবিল’ নিয়ে খোঁচা শুনতে হল মোদীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বললেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিলের বিকল্প হিসেবেই তো পিএম কেয়ার্স গড়েছিলেন আপনি। তা হলে দুই তহবিল মিলিয়ে দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এগোনো যায় না?

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইটার হ্যান্ডলে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত দশটি সদ্যোজাতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আজ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল’ থেকে এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা হতেই নেটিজেনরা টেনে এনেছেন পিএম কেয়ার্স প্রসঙ্গ। কোভিড মোকাবিলার নামে তৈরি পিএম কেয়ার্স তহবিলের চরিত্র ও স্বচ্ছতা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে মোদী অর্থবরাদ্দ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রশ্ন ফের টেনে এনেছেন নেটিজেনরা। মোদীর উদ্দেশে কেউ লিখেছেন, ‘‘আপনাকে অনুরোধ, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পিএম কেয়ার্সকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আনুন।’’ কারও কটাক্ষ, ‘‘পিএম কেয়ার্সের কী হল?’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘মনে হয় এই তহবিলের বিকল্প হিসেবেই পিএম কেয়ার্স গড়েছিলেন আপনি। যদি একই ভাবে দুই তহবিলের খরচ হয়, তা হলে দু’টিকে মিশিয়ে দিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হোক।’’ মোদীকে খোঁচা দিতে কৃষক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টানেন অনেকে। এক জন মন্তব্য করেছেন, ‘‘দিল্লির সীমানায় প্রাণ দিলেন যে কৃষকেরা, তাঁদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’’

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সব প্রশ্নের মধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার মৃত সদ্যোজাতদের পরিবারগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্যের মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর আজ ভাণ্ডারার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের তিনি বলেছেন, ‘‘যাঁরা নিজের শিশুকে হারিয়েছেন, সেই সব মায়েরা এবং তাঁদের পরিবারগুলি চরম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। এঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন