Narendra Modi

এক বছরে ৩৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেড়েছে মোদীর, কমেছে শাহের

গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোদীর আয় এবং মোট সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩০
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমিয়েছেন লাখ তিনেক টাকা। আর মেয়াদি আমানতে সুদ সমেত টাকার অঙ্ক বেড়েছে ৩৩ লক্ষের মতো। এক বছরে মোটামুটি এই ৩৬ লক্ষ টাকারই সম্পত্তি বেড়েছে নরেন্দ্র মোদীর।

Advertisement

গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোদীর আয় এবং মোট সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তা অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২.৮৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে দাখিল করা হিসেবে তা ছিল প্রায় ২.৪৯ কোটির। কোভিড বছরে এটুকু বৃদ্ধি মূলত ব্যাঙ্কে বেতন এবং আগের আমানতে সুদ জমা পড়ার দৌলতে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই দিনে নিজেদের আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর প্রমুখেরাও। দেখা যাচ্ছে, মোদীর সম্পত্তি কিছুটা বাড়লেও, তা কমেছে শাহের।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে যান আগে, রিপাবলিককে শীর্ষ কোর্ট

২০১৯ সালের ৩২.৩ কোটি টাকা থেকে তা নেমে এসেছে ২৮.৬৩ কোটিতে। যার প্রধান কারণ হাতে থাকা শেয়ার ও ঋণপত্রের দাম মূলধনী বাজারে ৪ কোটি টাকারও বেশি কমে যাওয়া। অমিতপত্নী সোনাল অমিত শাহের সম্পত্তি ৯ কোটি থেকে কমে হয়েছে ৮.৫ কোটি টাকা। তবে মাঝের এক বছরে ১.৩৬ কোটি টাকার একটি সম্পত্তি কিনেছেন তাঁরা। আর গত বারের মতো এ বারও রাজনাথের মোট সম্পত্তি দাঁড়িয়ে ২.৯৭ কোটি টাকাতেই।

গত ছ’বছর দিল্লির বাসিন্দা হলেও, প্রধানমন্ত্রীর সঞ্চয়ের টাকা রয়েছে গুজরাতে। স্টেট ব্যাঙ্কের গাঁধীনগর শাখায়। সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং মেয়াদি আমানত সেখানেই। আয়কর বাঁচাতে মোদীর অস্ত্র জীবনবিমার প্রিমিয়াম, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি) এবং পরিকাঠামো বন্ড (২০১২ সালে কেনা)। সোনার দাম বৃদ্ধির দরুণ তাঁর মোট ৪৫ গ্রামের সোনায় গড়া চারটি আংটির মূল্য কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু গুজরাতে বাড়ি ও জমির সম্ভাব্য দাম অপরিবর্তিত ১.১ কোটিতে। নিজের জন্য গাড়ি যেমন কেনেননি, তেমনই নেই ধারও।

আরও পড়ুন: জিএসটি: ধার করে ধার দিতে চায় কেন্দ্র

লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে মোদী এক বার দাবি করেছিলেন, জাগতিক কোনও জিনিস তাঁকে সে ভাবে টানে না কোনও দিন। মনের দিক থেকে তিনি কিছুটা ‘ফকির’ গোছের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই রসিকতা, দু’দশক মুখ্যমন্ত্রী (গুজরাতের) ও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার পরে সম্পত্তির এই অঙ্ক বেশ কম। তবে ফকির হিসেবে এই ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স নেহাত মন্দ নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন