প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের গুরদাসপুরের সভায় শিখ বিরোধ দাঙ্গা, করতারপুর করিডর, কৃষিঋণ মকুব— সব নিয়েই তিনি কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের অন্যতম শক্তঘাঁটি পঞ্জাবে দাঁড়িয়ে শিখ বিরোধী দাঙ্গার স্মৃতি উস্কে দিতে চেষ্টার ত্রুটি করলেন না প্রধানমন্ত্রী। গাঁধী পরিবারকে নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, ‘একটি পরিবারের পরামর্শেই শিখ হিংসায় অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কৃতিত্ব নিতেও কসুর করলেন না প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘এনডিএ সরকার ওই সংক্রান্ত (শিখ বিরোধী দাঙ্গা) ফাইল বার করে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। তার ফল কী হয়েছে, তা আপনারা দেখছেন।’’ ওই সম্পর্কে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের নাম না করে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদী। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে সেখানকার কংগ্রেস সরকার। কমল নাথের নাম না করে শিখ বিরোধী দাঙ্গার সময় তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘যিনি এখন বন্দে মাতরম ও ভারতমাতা কি জয় স্লোগান দিতে বাধা দিচ্ছেন, তাঁর ইতিহাস হল ঠান্ডা মাথায় হাজার হাজার শিখকে হত্যা করা। সেই ব্যক্তিকে এখন মুখ্যমন্ত্রী করে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।’’
করতারপুর করিডর তৈরির কৃতিত্বও এ দিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর জন্যই করতারপুর নিয়ে পাকিস্তান কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে।
মোদীর অভিযোগ, কৃষি ঋণ মকুবের কথা বলে দেশবাসীকে ‘ধোঁকা’ দিচ্ছে কংগ্রেস। তিনি বলেন, ‘‘গরিবি হটাওয়ের স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে মানুষকে বোকা বানিয়েছে। এ বার কৃষি ঋণ মকুবের কথা বলে ধোঁকা দিতে চাইছে।’’ তাঁর অভিযোগ, কর্নাটকে যে সব কৃষকেরা ঋণ শোধ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সেই কংগ্রেসই এখন কৃষক-দরদি সাজতে চাইছে। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ চালু না করার জন্যও কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।