Lok Sabha Election 2019

টুইটারে ১ লক্ষ ফলোয়ার হারালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী!

প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা মিলিয়ে দেশের ৯২৫টি রাজনৈতিক হ্যান্ডল নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:১৬
Share:

নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে টুইটারে ১ লক্ষ ফলোয়ার হারালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী হারালেন প্রায় ৯ হাজার ফলোয়ার। গত নভেম্বর মাসে ভুয়ো প্রোফাইল ছেঁটে ফেলার কর্মসূচি নিয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। তার জেরেই একধাক্কায় এত সংখ্যক ফলোয়ার হারালেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি তত্পরতা ছিল। এই মুহূর্তে তা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছে সবদলই। তাই আসন্ন নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়া কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে।

এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা মিলিয়ে দেশের ৯২৫টি রাজনৈতিক হ্যান্ডল নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালায় তারা। তাতে দেখা গিয়েছে, নভেম্বরে টুইটারে ভুয়ো প্রোফাইল ছেঁটে ফেলা অভিযানে বহু সংখ্যক ফলোয়ার হারিয়েছেন ভারতীয় রাজনীতিকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১ লক্ষ ফলোয়ার হারিয়েছেন তিনি। ভুয়ো প্রোফাইল কাটছাঁটের পর রাহুল গাঁধী হারিয়েছেন ৮ হাজার ৭০০ ফলোয়ার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ফলোয়ার হারিয়েছেন যথাক্রমে ৪০ হাজার ৩০০ এবং ১৬ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়াও যাঁরা প্রচুর সংখ্যক ফলোয়ার হারিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব এবং সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর।

Advertisement

আরও পড়ুন: রোড শোয়ে ঝড় তুললেন প্রিয়ঙ্কা, কাতারে কাতারে মানুষের স্লোগান-পুষ্পবৃষ্টিতে ভেসে গেল লখনউ​

আরও পড়ুন: রাজীব-কুণাল যৌথ প্রশ্নোত্তর শেষ, নগরপালকে ডাকা হতে পারে কালও​

এর আগে ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়েছিল। ইউজারদের তথ্য হাতিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সংস্থার বিরুদ্ধে। যার জেরে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে হাজিরা পর্যন্ত দিয়ে হয়েছিল ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গকে। সেই কারণেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সতর্ক হয়ে গিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সময় থাকতে ভুয়ো প্রোফাইল ছেঁটে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি বলে দাবি ইন্দ্রপ্রস্থ ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির গবেষকদের। তারা জানিয়েছে, গতবছর অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ আচমকাই রাজনীতিকদের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে টুইটারে। নভেম্বরে ভুয়ো প্রোফাইল ছেঁটে ফেলার পর তাতে সাময়িক ভাটা দেখা দেয়। কিন্তু নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ফের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে রাজনীতিকদের। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার সংখ্যা বেড়ে ফের ৪ কোটি ৫৪ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। রাহুল গাঁধীর ফলোয়ার সংখ্যা এখন ৮৫ লক্ষ।

আইআইটি দিল্লি ও হায়দরাবাদের অধ্যাপক পন্নুরঙ্গম কুমারাগারুর দাবি, ‘‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় খুব কম সংখ্যক রাজনীতিকই টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন। এখন ছোট-বড় সকলেরই টুইটার হ্যান্ডল রয়েছে। ৯২৫টি টুইটার হ্যান্ডল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছি আমরা। যার মধ্যে ৫০০টিই ভেরিফায়েড।” গবেষণায় আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১২-র নির্বাচনে প্রায় ১০ লক্ষ টুইটার হ্যান্ডল থেকে ২ কোটি ১০ লক্ষ টুইট করা হয়েছিল। সেই টুইটার হ্যান্ডলগুলির মধ্যে মাত্র ৩১.৬৪ শতাংশ এই মুহূর্তে সক্রিয়। তবে প্রতিনিয়ত ওই হ্যান্ডলগুলি থেকে টুইট করা হয়, এমন নয়। ২০১৮ সালে অন্তত একবার যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টুইট করা হয়েছে, সেগুলিকেই সক্রিয় হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে। অত সংখ্যক হ্যান্ডলের মধ্যে কোনটা ভুয়ো, তা বেছে বের করা খুব কঠিন বলে মত গবেষকদের।

(খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় রাহুল গাঁধীর ফলোয়ার সংখ্যা ৮ কোটি লেখা হয়েছিল । অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। রাহুল গাঁধীর ফলোয়ার সংখ্যা ৮৫ লক্ষ।)

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন