ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার বক্তৃতার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে মোদী ও অমিত শাহের মধ্যে আলোচনার পর থেকেই এই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে। আপাতত ১৭ অগস্টের একটি সম্ভাব্য দিন ঘুরপাক খাচ্ছে দিল্লির অলিন্দে। যদিও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মনোহর পর্রীকর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এখন প্রতিরক্ষায় কোনও পূর্ণ সময়ের মন্ত্রী নেই। বেঙ্কাইয়া নায়ডুর ইস্তফার পর তথ্য-সম্প্রচারের অতিরিক্ত ভার সামলাচ্ছেন স্মৃতি ইরানি। অনিল দাভের মৃত্যুর পর পরিবেশ মন্ত্রকও ফাঁকা। তার উপর নতুন শরিক জেডি(ইউ)কেও সামিল করতে হবে মন্ত্রিসভায়। দক্ষিণে তামিলনাড়ুতে এডিএমকের যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে মিলিয়ে দেওয়ার পরে তারাও শরিক হবে এনডিএতে। ফলে মন্ত্রিসভায় তাদের দল থেকেও আসতে পারে নতুন মুখ। যদিও এডিএমকে-র ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দুই গোষ্ঠীকে আগে এক হতে হবে। তার পরেই এনডিএতে সামিল সম্ভব। এই অবস্থায় মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদল কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:ডোভালের সঙ্গে কথা হচ্ছে জানজুয়ার, ইঙ্গিত দিলেন পাক রাষ্ট্রদূত
বিজেপির এক নেতা আজ জানান, নীতি আয়োগ থেকে অরবিন্দ পানাগড়িয়ার ইস্তফার পর মন্ত্রিসভা বদলের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে গেল। হতে পারে অর্থ মন্ত্রকেও এ বারে বদল হবে। নীতীশ কুমারের দল থেকে রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ এবং কর্পূরি ঠাকুরের ছেলে রামনাথের মন্ত্রিসভায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিছু মন্ত্রীর কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট মোদী। তাঁদের সরানো হতে পারে। যদিও সরকারের এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘যে ভাবে এখন চলছে, তাতে ক্ষতি কী? অনেক মন্ত্রীর কাছে এখন চারটি মন্ত্রক আছে। ফলে অরুণ জেটলির কাছে যদি অর্থ ও প্রতিরক্ষা থাকে, বস্ত্র মন্ত্রকের পাশাপাশি স্মৃতি যদি তথ্য ও সম্প্রচার সামলাতে পারেন, তা হলে ‘অকেজো’ মন্ত্রীদের সরানোর কী প্রয়োজন?’’