গণপিটুনি রোধের মন্ত্রিগোষ্ঠী নিয়েই প্রশ্ন

গণপিটুনির ঘটনায় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে সংসদে ও সংসদের বাইরে এ নিয়ে সরব হওয়ার কৌশল নিয়েছিল বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:১১
Share:

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

গোটা দেশ জুড়েই বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা। মুখ পুড়ছে সরকারের। তাই পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল দ্রুত একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গড়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী-রাজনাথ সিংহেরা। কিন্তু গঠনের এক দিনের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তার কার্যকারিতা নিয়ে।

Advertisement

গণপিটুনির ঘটনায় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে সংসদে ও সংসদের বাইরে এ নিয়ে সরব হওয়ার কৌশল নিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। পরিকল্পনা ছিল গোটা অধিবেশন ধরে এ নিয়ে শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানাবেন কংগ্রেস-তৃণমূল সাংসদেরা। কিন্তু বিরোধীদের কৌশল আগেভাগেই আঁচ করে ক্ষোভের হাওয়া দূর করতে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে কমিটি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠনের ঘোষণা করে শাসক শিবির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ ছাড়াও যাতে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও সামাজিক ন্যায়মন্ত্রী থেওরচাঁদ গহলৌত।

অতীতে ইউপিএ আমলেও ঠিক এ ভাবেই সরকার-বিরোধী যে কোনও আন্দোলনকে স্তিমিত করতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গড়ে দিত মনমোহন সিংহ সরকার। যাতে সাময়িক ভাবে ধামাচাপা পড়ে যায় বিষয়টিও। এ ক্ষেত্রেও এক মাস পরে রিপোর্ট জমা দেবে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তত দিনে বিষয়টির গুরুত্ব হারিয়ে যাবে বলেই মনে করছে বিজেপি। যদিও বিরোধীদের দাবি, মোদী সরকারের শুরুর দিকে মন্ত্রিগোষ্ঠী তো ছাড় গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন মনে করতেন না প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু লোকসভা ভোটের ঠিক আগে পরিস্থিতি যে অনুকূলে নেই তা বুঝতে পেরেই রাজনাথ-নরেন্দ্র মোদীও। গঠন করতে হয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠীও।

Advertisement

কিন্তু ওই গোষ্ঠীতে যে পাঁচ জন মন্ত্রী রয়েছেন তাঁরা কেউই প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ নন। ফলে ওই গোষ্ঠীর গুরুত্ব কতটা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে বিজেপির একটি অংশ বলছে, পরিকল্পিত ভাবেই ওই মন্ত্রীদের বাছা হয়েছে। গেরুয়া রাজনীতি করলেও এঁদের কট্টর ভাবমূর্তি নেই। তবে মন্ত্রিগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত কী করতে পারে তার আজ ইঙ্গিত দিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘প্রয়োজনে গণপিটুনি রুখতে কড়া আইন আনবে সরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন