দেশের অর্থনীতি না কি দৌড়চ্ছে বুলেট ট্রেনের গতিতে। সোমবার এমনই দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। অথচ এ দিন সেই অর্থনীতিরই হাল মেরামতির জন্য ফের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ তৈরির রাস্তায় ফিরতে হল নরেন্দ্র মোদীকে!
সোমবার ৫ সদস্যের পরিষদ তৈরির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। যার চেয়ারম্যান হচ্ছেন নীতি আয়োগের অন্যতম সদস্য বিবেক দেবরায়। ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে বিষয়ে জানতে চাইবেন, তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। মতামত জানাবেন নিজের থেকেও।
মনমোহন সিংহের জমানায় এই উপদেষ্টা পরিষদ পুরোদস্তুর ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজন। কিন্তু দিল্লি দখলের পরে মোদী যোজনা কমিশনের পাট যেমন চুকিয়ে দিয়েছেন, তেমনই পরিষদেও নতুন করে আর কাউকে নিয়োগ করেননি। তাই অনেকে বলছেন, এখন অর্থনীতির আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখে উপদেষ্টা নিয়োগের পুরনো পন্থায় ফিরতে বাধ্য হলেন তিনি।
আবার অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন, গুজরাতের বিশ্বস্ত কয়েক জন আমলাকে সঙ্গী করেই অর্থীনিতিকে টাট্টু ঘোড়ার মতো দৌড় করাতে পারবেন তিনি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধি তলানিতে। কাজের সুযোগ সে ভাবে তৈরি হচ্ছে না। মুখ ফিরিয়ে রয়েছে বেসরকারি লগ্নি। অথচ ধীরে হলেও দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করছে আগামী লোকসভার ভোট। এই পরিস্থিতিতে মোদী এক দিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ বিভিন্ন মন্ত্রীকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেমনই আবার পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে সমম্বয় বাড়াতে পরিষদও গঠন করলেন তিনি।