সংরক্ষণ নিয়ে কথা, চাকরি নিয়ে চুপ প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদের আসল প্রশ্ন ছিল— চাকরিই তো নেই, সংরক্ষণ কীসের?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

সংসদে ৪৮ ঘণ্টায় উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়ে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু বিরোধীদের আসল প্রশ্ন ছিল— চাকরিই তো নেই, সংরক্ষণ কীসের?

Advertisement

মোদী সরকার আজই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অসংরক্ষিত শ্রেণির সংরক্ষণ কার্যকর হবে। কিন্তু ‘চাকরি’ নিয়ে বিরোধীদের আসল প্রশ্নটি এড়িয়েই যাচ্ছেন তিনি।

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ নিয়ে আজ একাধিক প্রশ্নের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো আলাপচারিতায় আজ মহারাষ্ট্রের এক কর্মীকে দিয়ে সংরক্ষণ নিয়ে তিনটি প্রশ্ন করানো হল প্রধানমন্ত্রীকে। এক, বিরোধীরা বলছে ভোট বলে এই ঘোষণা? দুই, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় পেলে সংরক্ষণে কেন ৮ লক্ষ টাকার সীমা? তিন, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা যেখানে সীমিত, সেখানে সংরক্ষণের কী মানে? তিনটি প্রশ্ন করানো হলেও মোদীকে স্বস্তি দিতে চাকরি নিয়ে বিরোধীদের আসল প্রশ্নটিই করানো হল না! প্রধানমন্ত্রীও টেলিপ্রম্পটার দেখে বাকি তিনটির জবাবে জানালেন, ভোট এখন বারো মাস। যে কোনও সময় বিল আনলেই এই অভিযোগ উঠত। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) ‘ক্রিমি লেয়ার’-এও সীমা ৮ লক্ষ টাকা। আর ব্যক্তিগত আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা হলেও সংরক্ষণে ৮ লক্ষ টাকা পুরো পরিবারের আয়। স্বামী-স্ত্রী সকলের আয় মিলিয়ে। তৃতীয়ত, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দশ শতাংশ আসন বাড়ানো হচ্ছে, যাতে সকলে সমান সুযোগ পান।

Advertisement

আসলে সংরক্ষণের আওতায় ৮ লক্ষ টাকা উপার্জনকারী পরিবারকে ‘গরিব’ ধরা হলে বাজেটে কেন আয়কর ছাড় দেওয়া হবে না— এমন দাবি ওঠার পরেই মোদী নতুন যুক্তি সাজাতে তৎপর হলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি সংরক্ষণের বিরোধিতা করেন। আজ সমালোচনা ঝেড়ে ফেলতে গিয়ে বলেন, ‘‘সংবিধান সংশোধন না করে এই বিল আনলে আমিও বিরোধিতা করতাম।’’ এরই মধ্যে রামবিলাস পাসোয়ান আজ দাবি করেন, দশ শতাংশ সংরক্ষণের দৌলতে ভোটও দশ শতাংশ বাড়বে। কী ভাবে? তা অবশ্য বলেননি রামবিলাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন