ছবি: পিটিআই।
দেশীয় ভাবে তৈরি জৈব তেল ব্যবহার করে সম্প্রতি সফল ভাবে বিমান ওড়াতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। পরীক্ষামূলক ওই যাত্রায় বিমানে ব্যবহৃত মোট তেলের ১০ শতাংশ ছিল জৈব তেল। আজ সেই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবারে নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জৈব তেলের বহুল ব্যবহারে কার্বন নিঃসরণ কমার পাশাপাশি বিদেশ থেকে তেলের আমদানিও কমবে।’’
কিছু দিন আগে লেহ-র বিমানবন্দর থেকে বিমানে ব্যবহৃত তেলের সঙ্গে জৈব তেল মিশিয়ে সফল ভাবে ওড়ানো হয় ভারতীয় বায়ুসেনার এন-৩২ বিমান। আজ সেই ঘটনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘লেহ শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতায় অবস্থিত বিমানবন্দর। সেখান থেকে ওড়া বিমানের দু’টি ইঞ্জিনেই জৈব তেল ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে পরিবেশ কম দূষণ হওয়ার পাশাপাশি এর বহুল ব্যবহারে বিদেশ থেকে তেল আমদানি কমবে।’’ ওই জৈব তেল বানিয়েছেন কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। আজ তাঁদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।
আজ মোদী দেশের জীববৈচিত্র নিয়েও কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের জীববৈচিত্র হল অনন্য সম্পদ।’’ সম্প্রতি মেঘালয়ের গুহার ভিতরে নতুন প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যারা অন্ধ। কিন্তু গুহায় পাওয়া জলজ প্রজাতির মধ্যে আকারে সম্ভবত সবচেয়ে বড়। এগুলি আবিষ্কার এবং রক্ষার ডাক দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেষ সোনালি হনুমানের মৃত্যু উমানন্দে
সম্প্রতি ইসরো শ্রীহরিকোটায় একটি নতুন কেন্দ্র খুলেছে যেখান থেকে রকেট ও উপগ্রহের মহাকাশে উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখা যায়। শিশু মনে বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহ জাগাতে মোদী বিদ্যালয় ও বাবা-মায়েদের কাছে ইসরোর শ্রীহরিকোটার নতুন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপরে জোর দেন।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তব্যের পরে স্বাভাবিক ভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলেন, মোদী জমানায় ভারতের চিরকালীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় বৈচিত্র বারবার আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, মোদী জমানায় আদানি গোষ্ঠীকে বন্দর গড়ার অনুমতি দিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী জীববৈচিত্র ধ্বংস করা বা আদানি গোষ্ঠীকেই মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ অরণ্য ধ্বংসের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এত সব করার পরে জীববৈচিত্র রক্ষার কথা মোদীর মুখে বেমানান।