নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করে একের পর এক দল যোগ দিচ্ছে বিরোধী শিবিরে। হাত শক্ত হচ্ছে রাহুল গাঁধীর। হিন্দি বলয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি টক্করে হার হয়েছে বিজেপির। বাকিরা জোট বাঁধলে কী হবে? জবাবে রামমনোহর লোহিয়া, মুলায়ম সিংহ যাদব, এমজিআর, এনটিআর, শরদ পওয়ার বা বাম নেতাদের নাম করে কংগ্রেসের ‘ইতিহাস’ স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাতে কংগ্রেসের প্রতি মোহভঙ্গ হয় বিরোধী শিবিরের বাকিদের।
উপলক্ষ ছিল দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপির বুথ কর্মীদের সঙ্গে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সরাসরি কথা বলা। যেখানে প্রশ্ন কী করা হবে, তা আগেই স্থির করা থাকে। আজকের অনুষ্ঠানে মোদীর উদ্দেশ্যে প্রথম প্রশ্নটিই করা হল বিরোধী মহাজোট নিয়ে। আর দক্ষিণের রাজ্য বলে ইংরেজিতে তৈরি ছিল মোদীর উত্তর। জবাব দিলেন, ‘‘এই দলগুলি কি লোহিয়ার আদর্শ মেনে চলছেন? উত্তরে জোর গলায় বলব— নো-নো-নো।’’ একে একে বিরোধী শিবিরের নেতাদের নাম করে কংগ্রেসের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘এই জোট ব্যক্তিগত অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। পরিবার, ক্ষমতা আর উচ্চাশা পূরণের জন্য। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নয়। এই জোট অসাধু ও সুযোগসন্ধানী।’’
এর পরেই মোদী টেনে আনেন লোহিয়ার কথা। মোদীর কথায়, লোহিয়া বলতেন কংগ্রেস জাতপাতের বৈষম্য এনেছে। এই কংগ্রেস গাঁধীর কংগ্রেস নয়। বিলাসিতা আর ক্ষমতা ধরে রাখতেই ব্যস্ত কংগ্রেস। নানা মামলা দিয়ে কংগ্রেস মুলায়ম সিংহকে কী ভাবে হেনস্থা করেছিল, এমজিআর-কে নিশানা করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী, কংগ্রেসের ‘অহঙ্কার আর অপমান’-এর শিকার এন টি রামরাওকে কী ভাবে নিজের দল গড়তে হয়েছিল, কংগ্রেস থেকে আলাদা হয়েও এনসিপি মহারাষ্ট্রে কী ভাবে দুর্নীতি করছে, বামেরা ক’দিন আগেও কৃষি সঙ্কটের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে এখন তাদের সঙ্গ নিয়েছে— এ সবই বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যা শুনে কংগ্রেসের নেতা আর পি এন সিংহ বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে আক্রমণের জন্য মোদী সব সময়েই ইতিহাসে চলে যান। সব দায় তিনি চাপান নেহরু-গাঁধীর উপরে। কিন্তু বাস্তব হল, গত সাড়ে চার বছর ধরে মোদীর নির্যাতনের শিকার হয়েই একের পর এক শরিক এনডিএ ছাড়ছেন। বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়ে মোদীকে পরাস্ত করার পণ করছেন।’’