ফাইল চিত্র।
নিন্দুকেরা বলে, সাফল্যের ভাগ অতি-ঘনিষ্ঠদেরও দেন না তিনি। সেই নরেন্দ্র মোদীই গুজরাতে গিয়ে বলেছেন, জিএসটি-র যাবতীয় সিদ্ধান্তে কংগ্রেসও সমান শরিক। প্রশ্ন উঠেছে, গুজরাত ভোটের মুখে জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ কমাতেই কি মোদী কংগ্রেসকেও দুষছেন?
অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেসের যুক্তি, রাহুল গাঁধী গুজরাতে গিয়েই জিএসটি-র ভুল-ত্রুটি সংশোধনের দাবি তুলেছিলেন। মোদী, অরুণ জেটলিরা তা করেননি।
কংগ্রেসের বক্তব্য, সংসদের সেন্ট্রাল হলে ঘটা করে জিএসটি চালু করেছিলেন মোদী। তাদের কথা শোনা হয়নি বলে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘মোদী সরকার ‘এক দেশ, এক কর’-এর কথা বলে ‘এক দেশ, সাত কর’ চালু করেছে! জিএসটি-র সর্বোচ্চ হার ১৮ শতাংশে বেঁধে রাখার কথাও শোনেনি।’’
বিজেপি নেতারা বলছেন, জিএসটি নিয়ে সবথেকে বেশি ক্ষুব্ধ গুজরাতের ব্যবসায়ীরাই। বিশেষত বস্ত্র-ব্যবসায়ীরা। দেওয়ালিতেও অমদাবাদ-সুরাতের বস্ত্র ব্যবসায় রোশনাই ফেরেনি। এরাই বিজেপির চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে গাঁধী-পরিবারকে ‘গুজরাতি-বিদ্বেষী’ বলে প্রচার করছেন মোদীরা। পাল্টা আজ শশী তারুর মোদীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘কিছু দিন আগেই আমার ছেলে গুজরাতি কন্যাকে বিয়ে করেছে। আপনার রাজ্য আর তার মানুষের জন্য আমাদের ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নেই।’’