প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
অবিরাম ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে হড়পা বান। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দেশের উত্তরের রাজ্যগুলি। সেই আবহে রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১২৫তম পর্বেও জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘মন কি বাত’-এর রেডিয়ো সম্প্রচারে মোদী বলেন, ‘‘এ বছর বর্ষার মরশুমে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছি। বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে, জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে সেতু, রাস্তাঘাট। কোথাও ক্ষেত ডুবে গিয়েছে, কোথাও আবার গোটা পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই সব ঘটনায় প্রত্যেক ভারতীয় মর্মাহত।’’ পাশাপাশি, উদ্ধার অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী, জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ)-র প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘‘যেখানেই সঙ্কট দেখা দিয়েছে, আমাদের উদ্ধারকারী দল এবং নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে গিয়েছে, মানুষকে বাঁচাতে দিনরাত কাজ করেছে। সেনারা থার্মাল ক্যামেরা, লাইভ ডিটেক্টর, স্নিফার ডগ কিংবা ড্রোন নজরদারির মতো প্রযুক্তির সাহায্যে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনার চেষ্টা করেছে।’’
মোদীর কথায়, হেলিকপ্টার করে দুর্যোগকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। আহতদের বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, দুর্যোগের সময় সাহায্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় মানুষ, সমাজকর্মী ও ডাক্তারেরাও। সকলেই এই সঙ্কটের সময়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছিলেন। মোদী বলেন, ‘‘এই দুঃসময়ে মানবতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমি প্রত্যেক নাগরিককে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও হার মানেনি জম্মু-কাশ্মীর। এমনকি, পুলওয়ামায় প্রথম দিন-রাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ এবং শ্রীনগরের ডাল লেকে ‘খেলো ইন্ডিয়া ওয়াটার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজিত হয়েছে। সেখানে বিশেষ সাফল্যও অর্জন করেছে ভারতের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। মোদী বলেন, ‘‘অতীতে এই কথা ভাবাই যেত না! কিন্তু এখন আমার দেশ বদলাচ্ছে। ভারতজুড়ে ৮০০ জনেরও বেশি ক্রীড়াবিদ এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পিছিয়ে ছিলেন না মেয়েরাও। প্রায় পুরুষদের সমান নারী এতে অংশগ্রহণ করেছেন। সব অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানাই।’’