এর আগেও ভুবনেশ্বর গিয়েছেন তিনি। পুরীও গিয়েছেন কয়েক বার। কিন্তু এ বার যেন অন্য রকম! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানাতে অভূতপূর্ব আয়োজন করলেন নবীন পট্টনায়ক। সরকারি অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আয়োজন— কোনও ত্রুটিই রাখল না বিজু জনতা দল সরকার। এমনকী পুরীতে গিয়ে মমতার জগন্নাথ দর্শন নিয়ে আপত্তি তোলায় মন্দিরের এক সেবায়েতকে আটকও করল পুলিশ।
কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারে মমতা যখন শরিক, তখন থেকেই জাতীয় স্তরে বিজেপির সঙ্গে অঘোষিত তালমিল রাখছিলেন নবীন। কিন্তু এখন বাংলায় বিজেপির সক্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনই ওড়িশায় পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল করে রক্তের স্বাদ পেয়েছে তারা। বাংলার মতোই ওড়িশাতেও সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। এবং এই পরিস্থিতিই মমতা-নবীনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি মমতার দিল্লি সফরের সময়েই সংসদে নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে তাঁর একান্তে বৈঠক হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতার সফরকে ঘিরে ওড়িশা সরকারের আয়োজনের মধ্যে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মমতার এই সফরে নবীনের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা রয়েছে। ভুবনেশ্বরে নেমে মমতাও বলেন, ‘‘সময় পেলে নবীনবাবুর সঙ্গে দেখা করব।’’
এ দিন সকালে মমতার নামে বিষোদ্গার করেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এক সেবায়েত। সম্প্রতি মমতা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকলেরই পছন্দমতো খাবার, এমনকী গোমাংস ভক্ষণেরও অধিকার আছে। ওই সেবায়েতের বক্তব্য, এমন নেত্রীকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া যায় না। ওই
সেবায়েতকে পরে আটক করে পুলিশ। পরে পুরীর পুলিশ সুপার সার্থক ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘সতর্কতার খাতিরেই সোমনাথ খুঁটিয়া বলে এক সেবায়েতকে আটক করা হয়েছে।’’ মন্দির সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিজেপির ঘনিষ্ঠ। তবে মন্দিরের সেবায়েতদের অনেকেই মমতার ঘনিষ্ঠ। তাঁরা ‘মমতাদিদি’কে অতি যত্নে দর্শন করানোর কথা বলেছেন।