National News

আলিঙ্গন বিতর্কে ব্যাট ধরলেন ইমরান, সিধুকে বললেন ‘শান্তির দূত’

মঙ্গলবার সব বিতর্কের জবাব সোজা ব্যাটেই দিলেন নভজ্যোৎ। এদিন তিনি বলেন, ইমরান খানের শপথে যোগ দেওয়ার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। পুরনো বন্ধুর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ১৭:৪১
Share:

চণ্ডীগড়ে সাংবাদিক বৈঠকে নভজ্যোৎ সিং সিধু। ছবি: পিটিআই

ইমরান খানের শপথে যোগদান, পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশের আসনে বসা, সব বিতর্কের জবাব দিলেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। একই দিনে সিধুর পাশে দাঁড়িয়ে মোক্ষম কূটনৈতিক চাল চাললেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। বললেন, সিধু ‘শান্তির দূত’।

Advertisement

ভারত থেকে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারত থেকে একমাত্র অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধু। অনুষ্ঠানে আবার গদগদ চিত্তে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেছেন। বসেছিলেন এক্কেবারে সামনের সারিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে।

পাকিস্তানে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেও দেশে ফিরতেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া, আলিঙ্গন ও আসন নিয়ে ত্রিফলা আক্রমণের মুখে পঞ্জাবের মন্ত্রী সিধু। এমনকি তাঁর ‘ক্যাপ্টেন’ পঞ্চাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহও প্রকাশ্যেই সিধুর সমালোচনা করেন। ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপিও।

Advertisement

পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গনের এই ছবি নিয়েই বিতর্ক। —ফাইল ছবি

মঙ্গলবার সব বিতর্কের জবাব সোজা ব্যাটেই দিলেন নভজ্যোৎ। এদিন তিনি বলেন, ইমরান খানের শপথে যোগ দেওয়ার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। পুরনো বন্ধুর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন। যুক্তি সাজিয়েছেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বাসে চড়ে লাহৌর গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে আফগানিস্তান সফর থেকে ফেরার পথে আচমকা পাকিস্তানে চলে যান তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজকে আলিঙ্গনও করেন মোদী। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন তোলেননি।’’ একইসঙ্গে সিধুর দাবি, পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন ছিল ‘আবেগঘন প্রতিক্রিয়া’।

আরও পড়ুন: দেশের অর্থ সঙ্কটে উদ্বিগ্ন পাক প্রধানমন্ত্রী

আসন বিতর্কে সিধুর স্কোয়ার ড্রাইভ, ‘‘আমার বসার বিষয়টি শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর পাঁচ মিনিট আগেই আমাকে জানানো হয়, সামনের সারিতে বসতে হবে। ওঁরাযেখানে আমার বসার বন্দোবস্ত করেছেন, সেখানেই বসেছি।’’অমরিন্দর সিংহ এবং তাঁর দল কংগ্রেসের নেতাদের আক্রমণের জবাবে সিধু বলেন, আমার ক্যাপ্টেন আমাকে আক্রমণ করলেই আমাকেও তাঁর বিরুদ্ধে বলতে হবে, এর কোনও যৌক্তিকতা নেই।

আরও পড়ুন: ইমরানকে ডাকেননি মোদী, তবু জলঘোলা​

সিধু যখন দেশের ভিতরে ঘরে বাইরের স্পিন, সুইং, গুগলির মোকাবিলা করছেন, সীমান্তের ওপারে তখন তাঁর হয়ে ব্যাট ধরলেন ইমরান। পাকিস্তানের নয়া ‘কাপ্তান’ এদিন টুইট করে বলেন, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু ‘শান্তির দূত’ হয়ে এসেছিলেন। এরপরই নয়াদিল্লির উদ্দেশে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাউন্সার, ভারতে যাঁরা সিধুর সমালোচনা করছেন, তাঁরা উপমহাদেশে শান্তির বিরোধী।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন