নাগা ভোটে ডাক ব্যাপটিস্টদের

আন্তর্জাতিক ব্যাপটিস্ট সংগঠনের প্রধানকে বিদেশ মন্ত্রক ভিসা না দেওয়ায় বিতর্কের জেরে মেঘালয়ে চাপেই ছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

নাগাল্যান্ডে খ্রিস্টানদের ‘ক্রশ’-এর মুখে পড়েছে বিজেপির ‘ত্রিশূল’।

Advertisement

আন্তর্জাতিক ব্যাপটিস্ট সংগঠনের প্রধানকে বিদেশ মন্ত্রক ভিসা না দেওয়ায় বিতর্কের জেরে মেঘালয়ে চাপেই ছিল বিজেপি। এ বার নাগাল্যান্ডের ব্যাপটিস্ট গির্জা পরিষদও (এনবিসিসি) সরাসারি বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করল। ক্রশ কিংবা ত্রিশূলের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার ডাক দিয়েছে তারা।

খ্রিস্টান-প্রধান মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে এমনিতেই বিজেপির ভিত মজবুত নয়। গোমাংস নিষিদ্ধ করা, ধর্মান্ধতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস ও অন্য বিজেপি-বিরোধী দল বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে সরব। কিন্তু ঠিক ভোটের মুখে দুই রাজ্যে খ্রিস্টানরা নতুন করে বিরূপ হওয়ায় নতুন করে চাপের মুখে পড়েছে বিজেপি।

Advertisement

এনবিসিসি বিজেপির সমালোচনা করতে ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় গ্রাহাম স্টেনস ও তাঁর দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার প্রসঙ্গও সামনে এনেছে। এনবিসিসির সাধারণ সম্পাদক, রেভারেন্ড জেলহু কেইহো বলেন, “ত্রিশূল না ক্রশ—নাগাল্যান্ডবাসী কোনটা বেছে নেবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। বিজেপি মুখে যাই বলুক তাদের আসল চেহারা সকলেই জানে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে খ্রিস্টানরা আরও কোণ ঠাসা হবে।” তাঁর অভিযোগ, গত তিন বছরে মিশনারিদের উপরে অত্যাচার, তাঁদের হেনস্থা করার ঘটনা বেড়েছে। গারো পাহাড়ে বিশ্ব ব্যাপটিস্ট সম্মেলনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না সংগঠনের আন্তর্জাতিক প্রধানকে। শুধু তাই নয়, এনবিসিসি নাগা শান্তি চুক্তি না হওয়ার জন্যও কেন্দ্রকেই দায়ী করেছে। তাদের অভিযোগ, নাগাল্যান্ডে শান্তি আনতে কেন্দ্র কখনওই আন্তরিক নয়।

অবশ্য বিজেপি ও রিও-র নেতৃত্বাধীন এনডিপিপি জোট এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। প্রদেশ বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে খ্রিস্টানদের উপরে কোনও অত্যাচার হয়নি। নাগাল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিকে নিয়ে ড্যান জোটের শাসন চলছে। রাজ্যের খ্রিস্টানরা কোথাও সমস্যায় পড়েননি। অন্যত্র ঘটা পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে নাগাদের ভয় পাওয়ানোর ‘অন্যায় চেষ্টা’ হচ্ছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন