Viral Video

বাচ্চা কোলে ভিক্ষা চাইছিলেন মহিলা, দু’জনের গায়ের রং আলাদা হওয়ায় চেপে ধরল জনতা! এর পরেই প্রকাশ্যে সত্য

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আগরার কোতোয়ালি থানা এলাকার সারাফা বাজারে ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যায় একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বাজারের মধ্যে ভিক্ষা চাইতে দেখা যায় এক মহিলাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৬
Share:

বাচ্চা কোলে মহিলার ভিক্ষা। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

বাজারের মধ্যে ছোট বাচ্চা কোলে ভিক্ষা চাইছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁর এবং বাচ্চার গায়ের রং আলাদা হওয়ার কারণে বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের সন্দেহের নজরে পড়লেন তিনি। চেপে ধরতেই ঘটনাস্থল থেকে পালালেনও। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রকাশ্যে এল আসল সত্য। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনাটি ঘটেছে আগরায়। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আগরার কোতোয়ালি থানা এলাকার সারাফা বাজারে ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যায় একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বাজারের মধ্যে ভিক্ষা চাইতে দেখা যায় এক মহিলাকে। মহিলার গায়ের রং কৃষ্ণবর্ণ হলেও শিশুটির গায়ের রং ছিল ফর্সা। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বাজারের ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

শুভম সোনি নামে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শিশুটিকে কোলে নিয়ে বাজারে লোকজনের কাছে খাবার চাইছিলেন মহিলা। কিছু ক্ষণ পরে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়েরা মহিলাকে ঘিরে ধরেন। শিশুটির নাম জিজ্ঞাসা করা হলে মহিলা উত্তর দেন। কিন্তু তাঁর চোখেমুখে আতঙ্ক ধরা পড়ে। এর পর মহিলা শিশুটিকে নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। তখন জনতার মধ্যে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। কেউ কেউ দাবি করেন, শিশুটিকে চুরি করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন। মহিলা এবং শিশুটির পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলা স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের কাছে একটি অস্থায়ী কুঁড়েঘরে থাকেন। তাঁর স্বামী দিনমজুর হিসাবে কাজ করেন। চার সন্তান রয়েছে দম্পতির।

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে ওই শিশুর জন্মসম্পর্কিত নথিপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল। তিনি সেই নথি জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, শিশুটি সত্যিই তাঁর। নথিপত্র যাচাইয়ের পর মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে।

পুরো ঘটনার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে মদনমোহন সোনি নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে হইচইও পড়েছে ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement