Bizarre Incident

মৃত মায়ের আত্মার শান্তির জন্য তাঁর বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন, মৃত্যুর মুখে পড়লেন সেই সন্তানও! কেন? ঘটনায় হইচই

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম চেন। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। থাকতেন ৮৬ বছর বয়সি মায়ের সঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন চেনের অশীতিপর মা। কয়েক দিনের অসুস্থতার পর মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ঐতিহ্যবাহী রীতি মেনে মৃত মায়ের বিছানায় ঘুমাতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। জানা গিয়েছে, পূর্ব চিনের এক ব্যক্তি স্থানীয় ঐতিহ্য মেনে প্রয়াত মায়ের আত্মার শান্তির জন্য মৃতার বিছানায় কয়েক দিন ঘুমোনোর পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম চেন। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। থাকতেন ৮৬ বছর বয়সি মায়ের সঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন চেনের অশীতিপর মা। কয়েক দিনের অসুস্থতার পর মৃত্যু হয় তাঁর।

ঝেজিয়াং প্রদেশের ওই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী, আত্মার শান্তির জন্য মৃতের প্রিয়জনকে তাঁর বিছানায় কয়েক দিন ঘুমোতে হয়। স্থানীয়দের মতে, ওই রীতি মানলে মৃতার আত্মা ধীরে ধীরে পরলোকে যায়। মৃত্যুর পর ৩৫ দিন পর্যন্ত মানতে হয় সেই নিয়ম। চেনও সেই রীতি মেনেছিলেন। টানা কয়েক দিন ঘুমোচ্ছিলেন মৃত মায়ের বিছানায়। এর পরে তিনিও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মায়ের বিছানায় ঘুমোনোর দশম দিনে দুর্বল বোধ করতে শুরু করেন চেন। পেশিতে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এর পরে তিনিও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন। বমি শুরু হয় তাঁর। ঘন ঘন মল ত্যাগ করতে থাকেন। মায়ের মৃত্যুর আগে যে লক্ষণগুলি দেখা দিয়েছিল, সেই একই লক্ষণ দেখা যায় চেনের মধ্যেও। তড়িঘড়ি চেনকে হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়েরা। চিকিৎসকেরা জানান, একটি ভাইরাস ঢুকেছে চেনের শরীরে। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর এবং পেটের সমস্যা দেখা যায়। বাড়াবাড়ি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি হতে পারে।

চিকিৎসকেরা এ-ও জানান, মৃত মায়ের বিছানা থেকেই এই ভাইরাস চেনের শরীরে গিয়েছে। শীঘ্রই চিকিৎসা শুরু করা না গেলে চেনের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানান চিকিৎসকেরা। এর পরেই হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয় চেনের। বেশ কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement