NEET

পরীক্ষায় এক নম্বর কম পাওয়ায় ঢুকতে দিল না কোচিং সেন্টার, হতাশায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ পড়ুয়ার

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রেললাইনের ধারে এক তরুণীকে অনেক ক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন। তখন ওই লাইন দিয়ে একটি ট্রেন আসছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন নিশা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২১
Share:

রেললাইনের ধার থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

কোচিং সেন্টারে ঢুকতে না দেওয়ায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন নিট-এর এক পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর কাড্ডালুরের ভান্দালুর রেলস্টেশনে। মৃতের নাম নিশা (১৮)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিশা বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন তিনি কোচিং সেন্টারে যাচ্ছেন। বিশেষ ক্লাস করানো হবে বলেও বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন তিনি। ক্লাস করার জন্য দুপুরেই বেরিয়ে পড়েন নেভেলির উদ্দেশে। তার পরই বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ ভান্দালুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে নিশার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রেললাইনের ধারে এক তরুণীকে অনেক ক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন। তখন ওই লাইন দিয়ে একটি ট্রেন আসছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন নিশা। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর আরও দাবি, তরুণীকে দেখেই ট্রেনের গতি কমানোর চেষ্টা করেন চালক। কিন্তু গতি বেশি থাকায় ট্রেন থামানো যায়নি। ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের ধারে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তরুণীর।

Advertisement

এর পরই স্থানীয়রা ভান্দালুর স্টেশনে খবর দেন। রেলপুলিশ এসে নিশার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নিশার বাবার অভিযোগ, কোচিং সেন্টারের পরীক্ষায় কম পাওয়ায় কয়েক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিল তাঁদের মেয়ে। যাঁরা চারশোর বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের একটা দলে ভাগ করা হয়েছিল। আর যাঁরা চারশোর কম নম্বর পেয়েছিলেন তাঁদের আলাদা দলে ভাগ করা হয়েছিল। নিশার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে ৩৯৯ নম্বর পেয়েছিল। ফলে ও একটু মনমরা ছিল বিষয়টি নিয়ে।” এ ভাবে নম্বরের ভিত্তিতে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন নিশার বাবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন