—ফাইল চিত্র।
নাম না করে রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের পাকিস্তানের সমালোচনায় সরব হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন। বললেন, ‘ধারাবাহিক অপরাধীরা’ সন্ত্রাসে মদত দিয়েই যাবে!
জঙ্গিগোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত বন্ধ করতে এবং সেই প্রক্রিয়াকে অপরাধের তালিকায় ফেলতে গত কাল সদস্য-দেশগুলির সঙ্গে সর্বসম্মত ভাবে একটি প্রস্তাব নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সদস্য-দেশগুলিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ বলেছে, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে সক্রিয়তা দেখাতে হবে সবাইকেই। ‘ফিনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর প্রয়োজনীয় ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের নাম আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় তোলার জন্য আমেরিকার সক্রিয়তার পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের এই পদক্ষেপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ভারত বলেছে, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে এই প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বিতর্কে অংশ নেওয়ার পরে জানান, এফএটিএফ-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। সেটা আমাদের কাছেও জরুরি।
এই সূত্রেই নাম না করে পাকিস্তানকে এক হাত নিয়ে আকবরুদ্দিন বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের যে সব দেশ মদত দেয়’, তারা নিজেদের অবস্থান এবং জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা ব্যাখ্যা করতে নানা ‘যুক্তি খাড়া’ করবে। তাই এদের জন্য যথাযথ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা জরুরি। নাম না করেই পাকিস্তানকে বোঝাতে আকবরুদ্দিন ‘ধারাবাহিক অপরাধী’-র আখ্যাও দেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আকবরুদ্দিনের কথায়, ‘‘কী ভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে অর্থ জোগাড় করা যায়, তার জন্য নানা পন্থা বার করেই যাবে সন্ত্রাসবাদীরা। দুর্ভাগ্যজনক বাস্তব হল, কিছু দেশ এর পরেও তাদেরই মদত দিয়ে যাবে। ধারাবাহিক অপরাধীরা যেমন করে থাকে, সে ভাবেই নিজেদের কাজ এবং নিষ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা দেবে ওরা।’’
আকবরুদ্দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রবাদে বলা হয়, পুডিংটা কেমন হয়েছে, খেলে তবে বোঝা যায়! তেমনই নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনও প্রস্তাব প্রয়োগ বা কার্যকর হওয়ার পরে তবেই তার সার্থকতা।’’