China

কাবুলেও বেজিংয়ের নজর, চিন্তায় দিল্লি

পাকিস্তান তো আছেই, নেপাল-বাংলদেশ-সহ অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও চিনের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা নিয়ে এমনিতেই সতর্ক থাকতে হয় দিল্লিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২১ ০৬:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা এবং শান্তি ফেরানো নিয়ে চিনের অতিসক্রিয়তা দেখে কিছুটা সতর্ক নয়াদিল্লি। চিনে বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি ফোনে কথা বলেছেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ হানিফ আতমের এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব-এর সঙ্গে। পরে ওয়াং বলেছেন, বেজিং এবং কাবুলের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিশা দেখতে পাচ্ছেন তিনি। আফগান নেতৃত্বের কাছে তিনি এ কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চিন চায় আফগানিস্তান নরমপন্থী ইসলামিদের হাতে থাকুক। চিনা বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, “চিন আশা করে, কাবুলের ভবিষ্যৎ বিদেশনীতিতে শান্তি, সৌভ্রাত্র এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের দিকগুলি থাকবে। সমস্ত রকম সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানো এবং পুর্নগঠনে চিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চায়।”

Advertisement

পাকিস্তান তো আছেই, নেপাল-বাংলদেশ-সহ অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও চিনের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা নিয়ে এমনিতেই সতর্ক থাকতে হয় দিল্লিকে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য. চিনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্র যদি কাবুলেও নাক গলায় তাতে ‘মিত্র’ হিসেবে লাভ পাকিস্তানেরই। এ ব্যাপারে তাই পাকিস্তানের সব সহায়তা পাবে শি চিনফিং সরকার। এ দিকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা এবং ন্যাটোর অধীনস্থ সেনাবাহিনী (প্রায় হাজার দশেক) প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে নিজ নিজ দেশে। ফলে যে শূন্যতা তৈরি হবে, দ্রুত তার দখল নিতে প্রস্তত পাকিস্তানের আইএসআই-এর নিয়ন্ত্রণাধীন হাক্কানি গোষ্ঠী। এ ক্ষেত্রে চিনকে সামনে রাখলে তাদের লাভ বৈ ক্ষতি নেই বলেই মনে করছে ভারত। পরিবর্তে চিন বিবিধ কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক সুবিধা একচেটিয়া ভাবে আদায় করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন