জঙ্গিকে জেরা, গ্রেনেড উদ্ধার বেঙ্গালুরুতে

তদন্তকারীরা ওই গোপন ডেরা থেকে একই সঙ্গে উদ্ধার করেছেন একটি টাইমার ডিভাইস, তিনটি ইলেকট্রিক সার্কিট, প্রচুর বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক এবং দেশীয় কায়দায় রকেট তৈরির যন্ত্রপাতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি হবিবুর রহমানকে জেরা করে পাঁচটি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজ়ড হ্যান্ডগ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাতে বেঙ্গালুরুর উত্তরে সোলাদেবেনাহাল্লি থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্তকারীরা নাশকতার জন্য মজুত করা ওই ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করেছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা ওই গোপন ডেরা থেকে একই সঙ্গে উদ্ধার করেছেন একটি টাইমার ডিভাইস, তিনটি ইলেকট্রিক সার্কিট, প্রচুর বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক এবং দেশীয় কায়দায় রকেট তৈরির যন্ত্রপাতি। গত মাসে বেঙ্গালুরুতে হবিবুরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। খাগড়াগড় মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত ওই জঙ্গি এখন আদালতের নির্দেশে কলকাতা এনআইএ-র হেফাজতে রয়েছে। তাকে জেরা করেই ওই অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দারা জানান, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর থেকে বেপাত্তা ছিল হবিবুর। গত বছর বেঙ্গালুরুতেই ধরা পড়ে জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা জহিদুল শেখ ওরফে কওসর। সেই সময় অল্পের জন্য গোয়েন্দাদের হাত থেকে পালিয়ে যায় হবিবুর। ছ’মাসের বেশি সময় ধরে সে বেঙ্গালুরু শহরের উপকণ্ঠে দোদাবাল্লাপুরের লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করার পরেই দু’টি আইইডি-র হদিস পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

এনআইএ সূত্রের খবর, উদ্ধার করা হ্যান্ডগ্রেনেড গুলি আসলে ইস্পাতের লম্বা ক্যান। যা আইইডি-র কন্টেনার হিসেবে ব্যবহার করে হ্যান্ডগ্রেনেড তৈরি করা হয়েছিল। গ্রেনেডগুলিতে যে-পিন লাগানো রয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট আংটা। গোয়েন্দাদের অনুমান, সেই আংটা টানলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে আইইডি। এই ধরনের হ্যান্ডগ্রেনেড এর আগে জেএমবি-র সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি বলে জানান গোয়েন্দারা।

তদন্তকারীরা জানান, জেএমবি ফের নাশকতা ঘটানোর ছক কষছিল। তাদের নিশানা কী ছিল, তা জানতে ধৃতকে আরও জেরা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন