এনআইএ-র চাপে প্যাঁচে হুরিয়ত

আজ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র একটি অনুষ্ঠানে রাজনাথ দাবি করেন, সন্ত্রাসের কাজে মদত দিতে বিদেশ থেকে অর্থ আসা প্রায় বন্ধের মুখে। সামান্য যা টাকা আসছে তাও ক’দিনের মধ্যে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হবে এনআইএ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, মনোবল হারিয়ে ফেলছে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০০
Share:

দ্বিমুখী কৌশলে কাশ্মীরে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোমর ভাঙার কাজ চালু থাকবে বলে আজ ফের স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, এক দিকে বাহিনী জঙ্গি দমন অভিযান চালু রাখবে। অন্য দিকে সন্ত্রাসের জন্য বিদেশ থেকে অর্থ আসা রোখা হবে। আজ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র একটি অনুষ্ঠানে রাজনাথ দাবি করেন, সন্ত্রাসের কাজে মদত দিতে বিদেশ থেকে অর্থ আসা প্রায় বন্ধের মুখে। সামান্য যা টাকা আসছে তাও ক’দিনের মধ্যে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হবে এনআইএ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, মনোবল হারিয়ে ফেলছে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন:জয় এড়িয়ে উন্নয়ন-কথা অমিতের

উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী ও হুরিয়ত নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অভিযোগ, পাকিস্তানের নির্দেশেই কাশ্মীরি যুবকদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, পাথর ছোড়ার জন্য। গত মে-জুন মাসে ওই অভিযোগের তদন্তে নামে এনআইএ। শুরু হয় ধরপাকড়। তারপর থেকে প্রায় ডজন খানেক হুরিয়ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যার মধ্যে রয়েছে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাইও।

Advertisement

গোয়েন্দাদের মতে, ধরপাকড় ও টাকার জোগান কমে যাওয়ায় কার্যত উপত্যকায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্ব। ফলে কমেছে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, পাথর ছোড়ার ঘটনা। গত দু’মাসে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সে ভাবে পাথর ছোড়া হয়নি উপত্যকায়। আজ তার কৃতিত্ব এনআইএ-কেই দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘এনআইএ-র ধরপাকড়ের ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকে টাকা আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বড় ধাক্কা খেয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement