Coronavirus

রাতে কার্ফু জারি করে কোভিড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, মত বিশেষজ্ঞদের

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে নতুন করে রাতে কার্ফু জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

উৎসব শেষেই হু হু করে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হিমাচলপ্রদেশে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে করার জন্য ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে বিশেষ দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত রাতে কার্ফু জারি করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে নতুন করে রাতে কার্ফু জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। আমদাবাদ, সুরাত, রাজকোট, বডোদরা, ভোপাল, গ্বালিয়র, ইনদওর, জোধপুর, কোটা, বিকানের, উদয়পুর, অজমের, আলওয়ার এবং ভিলওয়াড়াতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। দিওয়ালির পর পরই এই শহরগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

সরকারি তথ্য বলছে, সুরাত, বডোদরা, জয়পুর এবং ভোপালে দিওয়ালির সময় কোভিড পরীক্ষার মাত্রা কমে গিয়েছিল। আগে যেখানে দিনে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার পরীক্ষা হত, সেটা ৩ হাজারে নেমে এসেছিল। ফের পরীক্ষা বাড়তেই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে এই শহরগুলিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাই রাতে কার্ফু জারি করার মতো পদক্ষেপ করে প্রশাসন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সঙ্গী পছন্দ করা ব্যক্তির মৌলিক অধিকার, জানাল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে কার্ফু জারি করে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। সরকারের কোভিড বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য ডিসিএস রেড্ডি এ প্রসঙ্গে জানান, রাতে কার্ফু জারি করে সীমিত সংখ্যক মানুষকেই আটকানো সম্ভব। কারণ এই সময়টায় ব্যস্ততা কমে যায়। ফলে রাতে কার্ফু জারি করে সংক্রমণ খুব একটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে হয় না। পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলে অনেকটাই সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন