National News

বার ডান্সার নাচিয়ে স্কুলেই মজলিশ, ভিডিও প্রকাশ হতেই হইচই

বার ডান্সারদের সঙ্গে হিন্দি গানের তালে তাল মিলিয়েছেন কয়েক জন। নাচের তালে তালেই নর্তকীদের হাতে নোটও গুঁজে দিচ্ছেন দু’জন। বিতর্ক চাপা দিতে ওই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১৭:৪২
Share:

প্রাইমারি স্কুলের এই নাচ-গানের ভিডিও আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

গ্রামপ্রধানের ছেলের জন্মদিন বলে কথা! আনন্দ-ফূর্তি তো হবেই। তা সেই আনন্দে মাততে গিয়ে সরকারি প্রাইমারি স্কুলেই বার ডান্সারদের নিয়ে মজলিশের আয়োজন করা হল।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিচালিত প্রাইমারি স্কুলের সেই নাচ-গানের ভিডিও আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাতে দেখা গিয়েছে, বার ডান্সারদের সঙ্গে হিন্দি গানের তালে তাল মিলিয়েছেন কয়েক জন। নাচের তালে তালেই নর্তকীদের হাতে নোটও গুঁজে দিচ্ছেন দু’জন। বিতর্ক চাপা দিতে ওই ঘটনা নিয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। গ্রামপ্রধান-সহ স্কুল কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে পুলিশ। তবে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গ্রামপ্রধান।

আরও পড়ুন

Advertisement

নাবালিকা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন কি ধর্ষণ? বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের জামালপুর গ্রামে তেত্রাইহিয়া কলা খুর্দ এলাকার ঘটনা। সোমবারের রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার থেকেই দিন তিনেক বন্ধ ছিল স্কুল। মঙ্গলবার সকালে স্কুল খুলতেই শিক্ষকেরা দেখেন, স্কুলবাড়িতে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা। এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় আসল ঘটনাটা। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষেই ওই মজলিশের আয়োজন করেছিলেন গ্রামপ্রধান রামকেশ যাদব। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের আধিকারিক প্রবীণকুমার তিওয়ারিকে অভিযোগ জানান স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার অশোক কুমার। অভিযোগ মিলতেই তা খতিয়ে দেখে তদন্তের নির্দেশ দেন প্রবীণকুমার। তিনি বলেন, “গ্রামপ্রধানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসক ও মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিককে অনুরোধ করেছি।”

আরও পড়ুন

সুকনা থেকে বাহিনী গেল সীমান্তে, সিকিমে গ্রাম খালি করা শুরু

প্রবীণকুমারের দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিক জানিয়েছেন, শনিবার স্কুল ছুটির পর গ্রামপ্রধান তাঁর কাছ থেকে স্কুলের চাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে গ্রামপ্রধানের দাবি, সোমবার রাতে স্কুলের সেই মজলিশে তিনি নিজে ছিলেন না, এবং তাঁর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষেও ওই অনুষ্ঠান হয়নি। একই সঙ্গে দাবি, ওই দিন অন্য গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গ্রামপ্রধানের সে দাবি মানতে নারাজ পুলিশ। আপাতত পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন তিনি। ডেকে পাঠানো হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও।

দেখুন সেই ভিডিও

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন