ধনকুবের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর সংস্থার পোস্টার।
কালো টাকার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তল্লাশিতে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) গোয়েন্দারা দেখছেন, তার ভরপুর ফায়দা কুড়িয়েছেন আর এক মোদী! যে ধনকুবের হিরে ব্যবসায়ীকে নিয়ে এখন দেশ উত্তাল, সেই নীরব মোদী তখন সোনা-রুপোর বাট কিনে কালো টাকা অনায়াসে সাদায় বদলে নিয়েছেন বলেই সন্দেহ। হালে ঠিক যে ধরনের অভিযোগ এ রাজ্যে উঠেছে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে।
পঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ককে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে আজ দেশের বিভিন্ন জায়দায় হানা দেয় ইডি। ৫,১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আশা, তা থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করা যাবে।
আরও পড়ুন: টাকা হাপিসে কাঁটার টক্কর মামা-ভাগ্নের
বিরোধীদের অবশ্য প্রশ্ন, নীরব দেশ ছেড়েছেন জানুয়ারিতে। এত দিন পরে আর নথি থেকে কী মিলবে?
হানা
• নোট বাতিলের সময়ে সোনার বাট কিনে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ
• ইডি-র হানা ‘নীরব মোদী’ ব্র্যান্ডের শোরুম এবং মামা মেহুল চোকসির গীতাঞ্জলি জেমসের ১৭টি ঠিকানায়
• মুম্বইয়ে নীরব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫টি বাড়ি সিল। হানা তাঁর ব্যক্তিগত অফিসেও
• দিল্লি, মুম্বই ও সুরাত থেকে আটক ৫,১০০ কোটির সম্পত্তি। যাতে রয়েছে হিরে, সোনার বাট, দামি পাথর ইত্যাদি
ইডি-র সন্দেহ, নীরবও নোটবন্দির সময়ে সোনা-রুপোর বাটের ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্টে পুরনো নোটে রাখা কালো টাকা জমা করেন। ওই সব ব্যবসায়ী ১-২% কমিশনও নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেবলই ছবি, নীরবে মোদী
কংগ্রেসের কটাক্ষ, নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দির ফায়দা যে কাছের লোকেরা তুলেছেন, এ আর নতুন কী! তাঁদের দাবি, নীরব বিজেপিকে মোটা চাঁদা জোগান। আদতে গুজরাতি। নীরবের ঠাকুর্দা কেশবলাল গুজরাতের বনসকণ্ঠার পালানপুরের মানুষ। সেখান থেকেই মুম্বইয়ে হিরে ব্যবসা শুরু করেন। আগামী দিনে জল কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই নজর সকলের।