National News

‘ক্ষতের উপর মলম লাগল’, হায়দরাবাদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের মৃত্যুতে বললেন নির্ভয়ার মা

আশা দেবী জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের নিহত তরুণী যে সুবিচার পেয়েছেন, তাতে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:১২
Share:

আশা দেবী। ছবি: সংগৃহীত।

যেন ক্ষতের উপর মলম লাগল। পুলিশি এনকাউন্টারে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডের চার অভিযুক্তের নিহত হওয়ার খবর শুনে বললেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ যে ওদের এ ভাবে শাস্তি দিয়েছে, তাতে আমি অত্যত আনন্দিত। পুলিশকর্মীরা খুব ভাল করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সে দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

শুক্রবার সকালে ওই খবর শোনার পর আশা দেবী জানান, ২০১২ সাল থেকে ওই ক্ষতের আঘাত বয়ে চলেছেন। এ দিন অভিযুক্তদের নিহত হওয়ার খবর শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘অন্তত এক জন মেয়ে সুবিচার পেল। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। সাত বছর ধরে চিৎকার করে চলেছি, আইন ভেঙে হলেও অপরাধীদের শাস্তি দিন। তার পর দেখুন, সমাজে ভালর জন্য বদল ঘটবে।’’

২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বরের রাতে নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণ করে করে খুন করা হয় আশা দেবীর মেয়ে জ্যোতি সিংহকে। ওই ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল হয়। প্রাথমিক ভাবে জ্যোতি সিংহের নাম গোপন রাখা হলে তিনি নির্ভয়া নামে পরিচিতি পান। মামলা চলাকালীন মেয়ের নাম প্রকাশ করেন নির্যাতিতার মা আশা দেবী। এ দিন তিনি জানান, ২০১২-র ঘটনার পর সাত বছর কেটে গেলেও সুবিচার পাননি তিনি। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে গত সাত বছর ধরেই কী না করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুবিচারের আশায় এখনও আমি আদালতের চক্কর কেটে চলেছি। ১৩ ডিসেম্বর আরও একটা তারিখ পেয়েছি যখন আমাকে ফের কোর্টে যেতে হবে। বিচার ব্যবস্থা তথা সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে নির্ভয়ার দোষীদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।’’

Advertisement

আশা দেবী জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের নিহত তরুণী যে সুবিচার পেয়েছেন, তাতে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই মেয়েটির মা-বাবা এ কথা ভেবে নিশ্চয়ই স্বস্তি পেয়েছেন যে, তাঁদের মেয়ের আত্মার প্রতি সুবিচার হয়েছে।’’ আশা দেবীর মতে, ‘‘এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ যারা করে, এর পর তাদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হবে।’’

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ৪ অভিযুক্তের পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু

এ দিন ভোররাতে তেলঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে এনকাইন্টারে নিহত হয় হায়দরাবাদ গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডের চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০)। ২৭ নভেম্বর রাতে হায়দরাবাদ শহরের অদূরে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘মেয়ের আত্মা শান্তি পেল’, এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তের মৃত্যুর পর বললেন ধর্ষিতা চিকিত্সকের বাবা

এ দিন রাত ৩টে নাগাদ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য তাদের সাদনগরে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের কাছে আন্ডার পাসে নিয়ে যায় পুলিশ। শামসাবাদে গণধর্ষণের পর সেখান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ মিলেছিল। পুলিশের দাবি, সাদনগরে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তেরা। আত্মরক্ষার্থেই তাদের গুলি করেন পুলিশকর্মীরা। সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন