এনআইএ-র দফতরে হাজির হওয়ার জন্য আলফা-সভাপতির দেশের বাড়িতে নোটিস ঝুলিয়ে দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
২০১১-য় অরবিন্দ রাজখোয়া গ্রেফতার হওয়ার পর অস্থায়ী ভাবে ইংল্যান্ডে কর্মরত চিকিত্সক, মুকুল হাজরিকা ওরফে অভিজিত্ বর্মনকে কার্যনির্বাহী সভাপতি ঘোষণা করেন পরেশ বরুয়া। পরে অরবিন্দ রাজখোয়া কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার পর অভিজিত্ই আলফা (স্বাধীন)-এর স্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত হন। নগাঁও জেলার চামাগুরির কাষরিগাঁওয়ে মুকুল হাজরিকার আদি বাড়ি। কিন্তু বিলেতে থিতু এই চিকিত্সক তিন দশকের মধ্যে রাজ্যে আসেননি। তাঁর পরিবারও ওই বাড়িতে থাকেন না।
৫ সেপ্টেম্বর পুরণিগুদাম এলাকার রাধাগোবিন্দ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি পার্সেল পাঠান হাজরিকা। সেখানে প্রাক্তনীদের সম্মেলনের জন্য শুভেচ্ছা বার্তার সঙ্গে টেবিল টেনিস বোর্ড ও ব্যাট ইত্যাদি কেনার টাকা পাঠানো হয়। শিক্ষকদের দাবি, ১২ বছর এই স্কুলে পড়েছেন হাজরিকা। পার্সেলের খবর পেয়েই এনআইএ চামাগুড়ি থানায় যোগাযোগ করে। স্থানীয়রা অবশ্য ডাক্তারবাবুর হাল-হকিকত কিছুই জানেন না। এমনকী তিনিই যে আলফা সভাপতি সেই প্রমাণও নেই স্থানীয় পুলিশের হাতে। এনআইএর দাবি, খবর পেয়েই ৪১ (এ) ধারায় তাঁর বাড়িতে নোটিস ঝোলানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১ টার মধ্যে হাজরিকাকে গুয়াহাটির লাচিতনগরের এনআইএ দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। তা না হলে, ৬৮ বছর বয়সী ওই চিকিত্সকের নামে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হবে। যে পার্সেল হাজরিকা পাঠিয়েছেন তাতে তাঁর ঠিকানা দেওয়া রয়েছে লন্ডনের এলটন হাউস।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৯৮৩ সালে শেষ বার তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পরে হাজরিকা বাড়ি এসেছিলেন। এখন তিনি বিলিংহ্যামে, একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। স্ত্রী, সন্তান-সহ ইংল্যান্ডেই থাকেন তিনি।
অসমের সমস্যা, ভারতীয় বাহিনীর মানবাধিকার ভঙ্গ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও সরব হয়েছিলেন মুকুল হাজরিকা ওরফে অভিজিত্ বর্মন ওরফে অভিজিত্ অসম।