ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ব্যবসা, সাসপেন্ড এনআইটি শিক্ষক

শিলচর এনআইটি-র নামে ব্যাঙ্কে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ‘কনসালট্যান্সি’-র কাজ করে যাচ্ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চার বছর ধরে এনআইটি-র নাম করে তোলা কোটি টাকার ‘ফিজ্’ আত্মসাৎ করেছেন ওই শিক্ষক।

Advertisement

উত্তম সাহা

শিলচর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

শিলচর এনআইটি-র নামে ব্যাঙ্কে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ‘কনসালট্যান্সি’-র কাজ করে যাচ্ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। চার বছর ধরে এনআইটি-র নাম করে তোলা কোটি টাকার ‘ফিজ্’ আত্মসাৎ করেছেন ওই শিক্ষক। এনআইটি-কে তার প্রাপ্য থেকেও বঞ্চিত করেছেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ হতেই কর্তৃপক্ষ তৌহিদুর রহমান নামে এই শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন এই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তারা।

Advertisement

কোনও সংস্থাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদান এনআইটি-র শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অবৈধ নয়। সে বাবদ ফিজ্ সংগ্রহেও বাধা নেই। তবে কেন এই জালিয়াতি? এনআইটি কর্তাদের ধারণা, বড় সংস্থাগুলি এনআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানের কাছেই কারিগরি পরামর্শ চায়। আর প্রতিষ্ঠানের নামেই ‘কনসালটেন্সি ফিজ্’ চেক মারফৎ জমা করে। তৌহিদুর তাঁর ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’-কে এনআইটি-র কারিগরি পরামর্শ হিসেবে দেখিয়ে বহু অর্থ আয় করেছেন। উল্লেখ্য, একক পরামর্শের জন্যও এনআইটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। সে ক্ষেত্রে আয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ এনআইটি-কে দিতে হয়।

তৌহিদুর শুধু বেসরকারি সংস্থায় নয়, তিনি পরামর্শদাতার ফিজ্ নিয়েছেন রেল, সিপিডব্লুডি, নিপকো-র মতো সরকারি, আধা-সরকারি সংস্থার থেকেও। সবই জমা পড়েছে ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। শিলচর এনআইটি-র ডিরেক্টর রজত গুপ্ত বলেন, ‘‘ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা গুরুতর ব্যাপার। কিছু দিন আগেই বিষয়টি আমার গোচরে আসে।’’ তিনি জানান, ডিন অসীমকান্তি দের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। তখনই ধরা পড়ে, ২০১৩-১৪ সালে ডিরেক্টর এবং সংশ্লিষ্ট অফিসারের সই জাল করে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। সেই থেকেই চলছে লেনদেন। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে পরিচালন বোর্ড তৌহিদুর রহমানকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। দিল্লিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের কথা তাঁরা ভাবছেন বলে রজতবাবু জানিয়েছেন।

Advertisement

অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শিলচর শাখার ম্যানেজার দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘এটি পুরোপুরি এনআইটি-র ব্যাপার। ব্যাঙ্কের এ ক্ষেত্রে কিছু করার ছিল না।’’ উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট এনআইটি-র কাছে পাঠাতেই জালিয়াতি ধরা পড়ে। তবে এ ব্যাপারে তৌহিদুরের বক্তব্য জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন