জামিন পেয়েও জেলে থাকতে হল অনুপ্রবেশকারীকে, বদলে ছাড়া পেলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত! —প্রতীকী চিত্র।
একই নামের দুই অভিযুক্ত বন্দি ছিলেন জেলে। আর এই নামের গেরোতেই জামিন পেয়েও জেলে থেকে যেতে হল এক জনকে। আর অন্য জন মুক্তি পেয়ে গেলেন! প্রথম জন বাড়িতে জোর করে ঢুকে হুজ্জুতি করায় অভিযুক্ত ছিলেন। আর দ্বিতীয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলনায় অনেক বেশি গুরুতর— এক নাবালককে একাধিক বার ধর্ষণ। হরিয়ানার ফরিদাবাদে নিমকা জেলের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে ন’বছরের এক বালককে একাধিক বার ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বছর সাতাশের যুবক নীতেশ পাণ্ডে। গত রবিবার ওই একই নামের এক যুবক অন্যের বাড়িতে ঢুকে হুজ্জুতি করার অভিযোগে জেলবন্দি হন। ঘটনাচক্রে, দুই নীতেশেরই বাবার নাম রবীন্দ্র পাণ্ডে। ফারাক কেবল একটিই ছিল। ধর্ষণে অভিযুক্ত পাণ্ডে পদবি ব্যবহার করলেও অনুপ্রবেশের অভিযোগে জেলবন্দি নীতেশ কোনও পদবি ব্যবহার করতেন না।
সোমবার অনুপ্রবেশে অভিযুক্ত নীতেশকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন ফরিদাবাদ আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আধিকারিক। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জেল কর্তৃপক্ষও। অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্ত নীতেশ নিজের পরিচয় গোপন করে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করার সময় তিনি পদবি ব্যবহার করেননি। ফলে জেল আধিকারিকেরা ধরে নেন তিনিই অনুপ্রবেশে অভিযুক্ত নীতেশ।
জেলের ডেপুটি সুপার হরেন্দ্র সিংহ পিটিআই-কে বলেছেন, “পরিচয় গোপন করে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন অভিযুক্ত। আমরা নীতেশ পাণ্ডের নামে স্থানীয় সদর পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” এই নাম বিভ্রাটের পর কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পাঁচ জন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত।