বিজেপির সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
মোদী বলেন, ‘‘বাংলা জয়ের পথ প্রশস্ত করল বিহার। বিহারের মতো বাংলা থেকেও জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলা হবে।’’
মোদী বলেন, ‘‘বিহারের ভোটে আমাদের যত জন জিতেছেন, গত ছ’টা বিধানসভা মিলিয়েও কংগ্রেসের এত জন জিততে পারেননি। কংগ্রেস হল মুসলিম লিগ মাওবাদী কংগ্রেস পার্টি। কংগ্রেসের ভিতর এত নিরাশা যে, দলে নতুন ভাগ তৈরি হচ্ছে। আবার বিভাজন হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে যারাই জোট করবে, তাদেরই এর ফল ভুগতে হবে। কংগ্রেস একটা বোঝা হয়ে গিয়েছে।’’
মোদী বলেন, ‘‘এক সময়ে বিহারে ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে হিংসা হত। আগে বহু জায়গায় পুনর্নির্বাচন হত। আগে বিহারে মাওবাদী রাজও ছিল। নকশাল এলাকায় ৩টের পর আর ভোট করা যেত না। কিন্তু জঙ্গলরাজ সরতেই বিহার স্বাভাবিক হয়েছে। এ বার বিহারের ভোটে কোনও হিংসা হয়নি। কংগ্রেস আর কখনও ফিরবে না।’’
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘বিহারে বিরাট জয়। বিশ্বাস অটুট। জঙ্গলরাজ নিয়ে কিছু বললে আরজেডি-র নয়, কংগ্রেসের গায়ে লাগত। বিহারে কংগ্রেস আর ফিরবে না। এম আর ওয়াই ফর্মুলায় বিহারে জয়। বিহারে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এনডিএ।’’ ‘এম’ বলতে মহিলা এবং ‘ওয়াই’ বলতে যুব সমাজকে বুঝিয়েছেন মোদী।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছোলেন অমিত শাহ। এখন অপেক্ষা নরেন্দ্র মোদীর জন্য।
জয় নিশ্চিত হতেই সমাজমাধ্যমে পোস্টে বিহারবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিনন্দনবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।’ বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। মোদী লেখেন, ‘মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।’
নীতীশ কুমার, চিরাগ পাসওয়ান, জিতনরাম মাঝি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহাদের মতো এনডিএ-র শরিক নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। একই সঙ্গে ওই পোস্টে বিহারের জন্য এনডিএ-র আগামীর রূপরেখারও আভাস দেন তিনি। মোদী লেখেন, ‘আগামী বছরগুলিতে আমরা বিহারের বিকাশ, পরিকাঠামোগত উন্নত এবং বিহারের সংস্কৃতিকে একটি নতুন পরিচয় দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাব।’ বিহারের তরুণ প্রজন্ম এবং মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্যও নতুন সরকার কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
এনডিএ শিবিরের জয় ঘোষণা এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে রয়ে গিয়েছে। এনডিএ-র অন্যতম জোটসঙ্গী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) এগিয়ে রয়েছে ১৯টি আসনে। এই জয়কে ‘মোদী-নীতীশের ডবল ইঞ্জিন’-এর জয় বলে ব্যাখ্যা করছেন চিরাগ।
বিহারবাসী অভিনন্দন জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লেখেন, ‘বিহারের জনতার প্রতিটি ভোট অনুপ্রবেশকারী এবং তাঁদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের নীতির প্রতি আস্থার প্রতীক। তাঁরা (অনুপ্রবেশকারীরা) দেশের সম্পদের শোষণ করেন। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে যাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন জনতা।’
বিহারে আবার ক্ষমতায় নীতীশ কুমার এবং বিজেপির জোট। নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে তারা। পর্যুদস্ত হল লালু যাদব এবং তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিজেপির জাতীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।