অনলাইন কেনাকাটায় কর বসালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ

রাজ্যের কোষাগারের বাড়তি আয়ের পথ খুঁজতে গিয়ে ‘অনলাইন’ কেনাকাটার উপর নীতীশ সরকার এ বার ‘প্রবেশ কর’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিল। সরকারি সূত্রের মতে, এর ফলে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে।

Advertisement

স্বপন সরকার

পটনা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৫ ০৩:৩৭
Share:

রাজ্যের কোষাগারের বাড়তি আয়ের পথ খুঁজতে গিয়ে ‘অনলাইন’ কেনাকাটার উপর নীতীশ সরকার এ বার ‘প্রবেশ কর’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিল। সরকারি সূত্রের মতে, এর ফলে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে।

Advertisement

এতদিন অনলাইনে যা কেনাকেটা হত তাতে রাজ্য সরকারকে কোনও কর দিতে হতো না। বিহার সরকার গত ৬ মে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, ৩৩টি সামগ্রীর উপর রাজ্যে ইতিমধ্যেই ‘প্রবেশ কর’ বলবত্ আছে। অনলাইন কেনাকাটায় এখনও কোনও নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি না হওয়ায় ওই ৩৩টি সামগ্রীর তালিকাকেই আপাতত অনলাইন প্রবেশ করের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ঠিক হয়েছে, কম পক্ষে এক হাজার টাকার কেনাকাটার উপরে ক্রেতাকে প্রবেশ কর দিতে হবে। অন লাইন কেনাকাটায় ন্যূনতম ৪ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্রেতাদের কাছে অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় হল মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ওয়্যারলেস, রেডিও, কুলার, কম্পিউটার, প্রিন্টার প্রভৃতি।

রাজ্য সরকারের নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী কাগজ, লেটার প্যাড, ফাইল বা কার্টনের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ কর আদায় করা হবে। মোবাইল বা যে কোনও ধরনের ফোন, ওয়্যারলেস, রেডিও, ইউপিএস, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হবে। ৮ শতাংশ কর নেওয়া হবে ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী, এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক্যাল ফিটিংস, নানা ধরনের রঙ বা তার সঙ্গে সর্ম্পকিত সামগ্রীর উপরে। যে কোনও ধরনের আসবাব এবং ব্যাটারি চার্জারের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ কর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল মাত্র রেডিমেড পোষাক, জুতো, চশমা, ঘড়ি, বাসন, খাদ্য সামগ্রী, বিছানার চাদর এবং সাজসজ্জার সামগ্রীর উপর কোনও কর লাগবে না।

Advertisement

অনলাইন কেনাকাটার প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়তে থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের কাছে আগেই ক্ষোভ জানিয়েছিল। কিন্তু অনলাইন কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় এটা বুঝেই আগামী ভোটের আগে ব্যবসায়ী ভোট-ব্যাঙ্ককে নীতীশ সরকার যেমন খুশি করার চেষ্টা করল, তেমনই সরকারের আয়ের পথও তৈরি করল। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিহার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পি শাহ স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে সরকারের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন এবং অফলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে লড়াইয়ের সমান সুযোগ এল।”

এই কর আদায়ের পদ্ধতিতে বলা হয়েছে, ক্যুরিয়র সংস্থাগুলি ক্রেতাকে তাদের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সময় কর বাবদ টাকা আদায় করবে। সামগ্রীর দাম ছাড়াও করের
টাকা ক্যুরিয়র আদায় করে সরকারকে জমা দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন