নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
না আঁচালে বিশ্বাস নেই। এই আপ্তবাক্যেই ভরসা রেখে সম্ভবত আজ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন না নীতীশ কুমার। সূত্রের মতে, আগামী ১৯ নভেম্বর ইস্তফা দেবেন তিনি। তার পরের দিন বিহারে শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।
গত কাল ঠিক ছিল, বর্তমান সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে ইস্তফা জমা দেবেন নীতীশ। সেই মতো আজ সকালে মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে এনডিএ-র বিপুল জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানান মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া সমস্ত কর্মীদের। বৈঠকে ঠিক হয়, আগামী ১৯ নভেম্বর বিধানসভার শেষ দিন হতে চলেছে। সে কথা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে জানিয়ে আসেন নীতীশ। সে দিনই তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন, সে কথাও রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন নীতীশ আজ ইস্তফা দিলেন না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে পটনার রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের মতে, তাঁকে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাওয়ার জন্যই ইস্তফা দেওয়া থেকে পিছিয়ে আসেন নীতীশ। সূত্রের মতে, আজ পটনায় বিজেপির বিধায়ক দলের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে বিজেপি পরিষদীয় নেতা বেছে নেওয়ার পাশাপাশি নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শরিক দলকে চিঠি দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু বিজেপির সেই বৈঠক পিছিয়ে ১৯ নভেম্বর হবে বলে ঠিক হয়েছে। সূত্রের মতে, নীতীশ তাই কোনও ঝুঁকি নেননি। পরশু বিজেপির বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশের সমর্থনে বাকি শরিক দলগুলিকে চিঠি দেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। এতে একটি বিষয় স্পষ্ট। দু’শিবির জোট বেঁধে লড়াই করে রেকর্ড ব্যবধানে জিতলেও, আস্থার ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। যদিও বিতর্ক এড়াতে আজ বিহার বিজেপির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল দাবি করেছেন, নীতীশই ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। ঘোষণা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
এ দিকে পারিবারিক বিতর্কের মধ্যেই আজ পরিষদীয় দলের নেতা বেছে নিতে বৈঠকে বসে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। বৈঠকে দলের পক্ষথেকে লালুপ্রসাদ-পুত্র তেজস্বীকেই পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। আজ দুপুর দু’টো থেকে শুরু হওয়া আরজেডির ওই বৈঠকে শুরুর দিকে উপস্থিত ছিলেন লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী। কিন্তু তেজস্বীকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়ার আগেই বৈঠক ছেড়ে চলেযান তাঁরা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে