৯৩ জন আমলা বদলি নীতীশের

নির্বাচনের দিন ঘোষণার আর খুব দেরি নেই। তার আগেই বড় ধরনের রদবদল হল রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশ মহলে। আজ বদলি করা হয় ২৭ জন জেলাশাসক এবং ১৮ জন পুলিশ সুপারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

নির্বাচনের দিন ঘোষণার আর খুব দেরি নেই। তার আগেই বড় ধরনের রদবদল হল রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশ মহলে। আজ বদলি করা হয় ২৭ জন জেলাশাসক এবং ১৮ জন পুলিশ সুপারকে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ছাড়াও ২২ জন আইএএস অফিসার এবং ২৬ জন আইপিএস অফিসারকেও বিভিন্ন পদে বদলি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে একই দিনে ৯৩ জন আমলাকে বদলি করা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সরকারি মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ জেলা থেকেই সরাসরি আইএএস-আইপিএসদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে প্রোমোটি অফিসারদের।

Advertisement

আগামী ৭ অগস্ট সদলে বিহারে আসছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদি। দু’দিন ধরে তিনি পটনায় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও। তার আগে বিহার পুলিশ ও প্রশাসনের এই বদলির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক অঙ্ক খুঁজে পাচ্ছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের মতে, সপ্তাহখানেক আগে সহকারী নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কয়েকজন রীতিমতো সরব ছিলেন।

দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় নিজেদের দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে জেডিইউ। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই বৈঠকে জেলার নেতারা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নামেই অভিযোগ করেছিলেন। শাসক দলের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠছিল ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতেও সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে অবহিত মহল। প্রশাসন সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে নীতীশ কুমারের নির্বাচন প্রচারের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন জন-সংযোগ কনসালট্যান্ট প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল প্রচারের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। গত জুন মাস থেকে নীতীশ কুমারের সার্কুলার রোডের বাড়িতে অফিস করে তিনি কাজ করছেন। ইদানীং জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের ফোন করে বেশ কিছু নির্দেশও দিচ্ছিলেন তিনি। পটনার জেলাশাসক অভয়কুমার সিংহকে ফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। তা নিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তোলপাড় হয়। এ দিনের বদলি তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন অভয়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অনেক অফিসারই জেলায় তিন বছরের চেয়ে বেশি সময় রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement