ভিসা বাতিল করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
৮৫ হাজার ভিসা বাতিল করেছে আমিকার! জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় এক বছরে ভিসা বাতিলের সংখ্যা জানিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতিকে। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে ভিসার অনুমোদনের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ৮৫ হাজার ভিসা বাতিলের কথা জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। সেই সঙ্গে একটি বার্তাও দিয়েছে তারা। ওই পোস্টের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি ছবিও দেওয়া হয়। তাতে লেখা, ‘আমেরিকাকে আবার নিরাপদ করে তুলুন!’
আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বাতিল হওয়া ভিসার মধ্যে আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত বছর যত সংখ্যক পড়ুয়াদের ভিসা বাতিল করেছে আমেরিকা, এই সংখ্যা তার দ্বিগুণ। কেন ভিসা বাতিল করা হল? ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিসা বাতিল হয়েছে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে। চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে অনেকের ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন প্রশাসন।
শুধু তা-ই নয়, কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে গাজ়া নিয়ে বিক্ষোভের কারণেও বহু বিদেশি পড়ুয়াকে তাঁদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইহুদি বিদ্বেষ বা চরমপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থনের অভিযোগেও অনেক বিদেশি পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকের ভিসা অনুমোদন বন্ধ করেছে। সেই তালিকা আরও বাড়তে পারে। আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতরের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন, ৩০ থেকে ৩২ দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। আমেরিকায় বৈধ ভিসাধারীরাও রয়েছে প্রশাসনের আতশকাচের নীচে। সেই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। প্রায় পাঁচ কোটি ৫০ লক্ষ বিদেশি নাগরিকের উপর নজর রাখা হয়েছে। চলছে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াও। ফলে ভিসা বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে আমেরিকার বিদেশ দফতর।