পড়শি দেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে পালিয়ে এলে ভারতে মিলবে শরণার্থীর মর্যাদা। ২০১৫ সালের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু তার পর থেকে অসমে কেউই ‘শরণার্থী’ হিসেবে আশ্রয় চেয়ে আবেদন জানায়নি।
বিদেশি চিহ্নিতকরণ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার সুইটি চাংসান এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ওই আবেদন জানালে নিজেকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করতে হবে। সেই ভয়েই হয়তো ওপার থেকে আসা কেউই শরণার্থী হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করতে চাইছেন না। এই শিবিরে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাস জানান, ২০১৩ সাল থেকে পুশ ব্যাক নীতি বন্ধ। ২৭,২৮৫ জনকে সীমান্ত পারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে আনুষ্ঠানিক ডিপোর্টেশন চালু হওয়ার পরে প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে।
গত তিন বছরে মাত্র ৬০ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বিচারকদের সতর্ক করে বলেন, ‘‘এই ধরণের মামলায় নিজের পূর্বনির্ধারিত ধারণা ও মনোভাবকে দূরে রেখে নিরপেক্ষ হতে হবে। বিদেশি সন্দেহে কাউকে নোটিশ পাঠানোর আগে গ্রামপ্রধান ও গ্রামের বিশেষ ব্যক্তিদের সাহায্য অবশ্যই নেওয়া উচিত।’’