সংঘাত নয়, চিনকে কাছে টানছে দিল্লি

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ নিয়ে সঙ্ঘাতকে বাড়তে না দিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নতি ঘটাতে সক্রিয় হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিন দিন আগে নয়াদিল্লিতে চিনের উপবিদেশমন্ত্রী কং জুয়ানইউ-এর সঙ্গে এই মর্মে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ নিয়ে সঙ্ঘাতকে বাড়তে না দিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নতি ঘটাতে সক্রিয় হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিন দিন আগে নয়াদিল্লিতে চিনের উপবিদেশমন্ত্রী কং জুয়ানইউ-এর সঙ্গে এই মর্মে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে। প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেছেন জুয়ানইউ। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে এই বছরেই ভারত সফরে আসার জন্য নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বেজিংকে অনুরোধ করা হয়েছে। যদি চিনফিং না আসতে পারেন, সে ক্ষেত্রে চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াংয়ের ভারত সফরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে চিনা উপবিদেশমন্ত্রীকে।

Advertisement

চলতি মাস থেকেই চিনের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের দৌত্য বাড়ানোর কাজ শুরু করছে সাউথ ব্লক। জুন মাসে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে পূর্ব চিনের শহর কিনদাও-এ যাবেন মোদী। চেষ্টা চলছে, ওই সময়েই বেজিং-এ আলাদা করে শি-র সঙ্গে তাঁর একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করানোর। প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরের আগে সে দেশে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই নির্ধারিত সূচির বাইরে আরও কিছু শীর্ষ পর্যায়ের আদানপ্রদানের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে দু’দেশের নেতৃত্বের মধ্যে।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, শীর্ষ পর্যায়ের আদানপ্রদান এবং আলোচনা বাড়ানো গেলে খুচরো সমস্যাগুলিকে এড়ানো যাবে। দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। এখনও পর্যন্ত ভারত-চিনের সীমান্ত সঙ্ঘাত এড়াতে পাঁচটি জায়গায় বর্ডার পার্সোনেল মিটিং (বিপিএম) হয়ে থাকে। সম্প্রতি অরুণাচলের আসাফিলা এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর টহলদারি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাত তৈরি হয়েছে। চিন অভিযোগ এনেছে সীমান্ত লঙ্ঘনের। ভারতীয় সেনা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, আসাফিলা এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ধরনের সঙ্ঘাত এড়াতে দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আরও যোগাযোগ বাড়ানোটা জরুরি। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, দীর্ঘ আড়াই মাসের ডোকলাম কাণ্ডের পরে টনক নড়েছে সাউথ ব্লকের। তাই এত তৎপরতা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

কাশ্মীরে এনএসজি, আপত্তি সেনার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন