সাড়ে ৭ মিনিটেই ‘শেষ’ লোকসভা

সাংসদদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে আজ ঘড়ির কাঁটা ১১টা থেকে ১১টা বেজে ১ মিনিটে যাওয়ার আগেই প্রথম দফার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রথম দফায় মেরেকেটে ৩৫ সেকেন্ড। দ্বিতীয় দফায় একটু বেশি, ৭ মিনিট। আজ সারা দিনে সাকুল্যে এই সাড়ে ৭ মিনিটই ‘কাজ’ হল লোকসভায়।

Advertisement

সাংসদদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে আজ ঘড়ির কাঁটা ১১টা থেকে ১১টা বেজে ১ মিনিটে যাওয়ার আগেই প্রথম দফার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। দ্বিতীয় দফার অধিবেশন বসে বেলা ১২টায়। মুলতুবি হয় ১২টা ৭ মিনিটে। গত কাল ১২টার পরে অধিবেশন ১৪ মিনিট চললেও আজ হট্টগোলের মুখে তারও অর্ধেক সময়ে লোকসভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

ফলে আজও গৃহীত হল না জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশমের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। আগামিকাল ফের অনাস্থা আনার পরিকল্পনা করেছে দু’দল। গোলমালে পিছিয়ে নেই রাজ্যসভাও। উচ্চকক্ষে আজ ৬ মিনিটে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এটা কি সংসদ, না অন্য কিছু!’’

Advertisement

সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার লোকসভায় বলেন, ‘‘বিজেপি অনাস্থা-সহ সব ধরনের আলোচনায় রাজি। কারণ শুধু সংসদেই নয়, সংসদের বাইরেও জেতা নিয়ে দলের আস্থা রয়েছে।’’ বিজেপির দাবি, শাসক শিবিরের জয় নিশ্চিত বলে বিরোধীরাই অনাস্থা প্রস্তাব ভেস্তে দিচ্ছেন। বর্তমানে লোকসভার যা চিত্র তাতে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে বিজেপির জয় যে নিশ্চিত, সে বিষয়ে দ্বিমত নেই কংগ্রেস নেতৃত্বের। তবে দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘গত চার বছরে সরকারের কাজে বিজেপির বেশ কিছু সাংসদ ক্ষুব্ধ। অনেকে বুঝতে পারছেন, তাঁরা আগামী লোকসভায় টিকিট পাবেন না। এমন বিজেপি সাংসদের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি বলে আমরা চিহ্নিত করেছি। অনাস্থা হলে তাঁরা যাতে শাসক শিবিরের পক্ষে ভোট না দেন, তার জন্য সক্রিয় রয়েছে দল। তা হলেই নরেন্দ্র মোদীর নৈতিক পরাজয় হবে।’’

হট্টগোল বাধানোয় আঙুল উঠেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএসের বিরুদ্ধে। অনেকের অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব যাতে না আসে, তাই বিজেপির ইঙ্গিতেই রাজ্যে সংরক্ষণের কোটা বাড়ানোর দাবি তুলে গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তেলঙ্গানার সাংসদেরা। তিন দিন ধরে সংসদ না চলার দায় যে তাঁদের ঘাড়ে এসে পড়েছে তা বুঝতে পেরে আজ মুখ খোলেন চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তথা সাংসদ কে কবিতা। তাঁর দাবি, ‘‘সরকার আমাদের দাবি শুনছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এ ভাবে আন্দোলন চালাতে হচ্ছে। আমরাও চাই সুষ্ঠু ভাবে অধিবেশন হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন