তাঁর স্যুট থেকে কুর্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কখনও শুনেছেন তারিফ, তো কখনও সংসদে ‘স্যুট বুট কি সরকার’ বলে বিরোধীরা করেছে আক্রমণ। তবু এত দিন নিজের ওয়ার্ডরোব নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁকে। শুক্রবার সেই পোশাক-রহস্যের জাল নিজেই ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আক্রমণ নয় বরঞ্চ কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় দেখা গেল মোদীকে।
গুজরাতে শীতের আধিক্য তেমন ভাবে দেখা যায় না, তাই তাঁর অন্যতম পছন্দের পোশাক কুর্তা-পাজামা। তিনি জানান, বিলাসের জন্য নয়, প্রয়োজনের তাগিদে কেটে ফেলেন কুর্তার হাতা। এক সময় তিনি নিজেই কেচে পরিষ্কার করতেন তাঁর পোশাক। পুরো হাতা পোশাক কাচতে বেশি সময় লাগত, তাই নিজের কুর্তার হাতা কেটে ফেলেন তিনি। এ ভাবেই জন্ম হয় মোদী-কুর্তার। এ ছাড়া পয়সার অভাবে পুরনো দিনের লোহার ইস্ত্রির সাহায্যে জামা-কাপড় ইস্ত্রি করতেন তিনি। চকের গুড়ো দিয়ে সাদা করতেন জুতো।
শুক্রবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদী-কুর্তার জট ছাড়ালেন নিজেই। তিনি বললেন, “পোশাক ডিজাইনের ক্ষমতা আমার ঈশ্বরপ্রদত্ত। রং মিলান্তির ক্ষমতা জন্মগত। যে কোনও পোশাকেই দিব্যি মানিয়ে যায় আমাকে।” তাই মোদীর দাবি, নিজস্ব কোনও ডিজাইনার না থাকলেও তাঁর পোশাকের ডিজাইন নিয়ে অনবরত আলোচনা হয়।
এ দিন নয়াদিল্লিতে নিজস্ব স্টাইলেই প্রধানমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে চলছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেখানে মোদীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করে এক পড়ুয়া। কে তাঁর পোশাকের ডিজাইন করেন তা মোদীর কাছে জানতে চায় ওই পড়ুয়া। মোদী বলেন, “আমার নিজস্ব ডিজাইনার আছে, এটা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। আমি সাধারণ-ভদ্র পোশাক পরতে ভালবাসি। তবে তা হতে হবে ধোপদুরস্ত।” তবে অনুষ্ঠান অনুযায়ী পোশাক পরা উচিত বলে মনে করেন তিনি।