‘নরেন্দ্র কুমার মহাবীর প্রসাদ মোদী’র ভর্তির আবেদনপত্র।
নয়া মোড় নিল নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি বিতর্ক। অন্য এক নরেন্দ্র মোদীর বিএ ডিগ্রিকে প্রধানমন্ত্রীর বলে চালানো হচ্ছে, দাবি করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
নরেন্দ্র মোদীর এমএ ও বিএ ডিগ্রির তথ্য জানতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল। বহু চাপানউতোরের পরে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর এমএ ডিগ্রির খোঁজ দিয়েছে। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ ডিগ্রির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশে অবশ্য জনৈক নরেন্দ্র মোদীর একটি বিএ ডিগ্রির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। গত কালই কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, ওই ডিগ্রি ভুয়ো। আজ কেজরীবাল জানান, আম আদমি পার্টির সদস্যেরা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন। কিন্তু ‘নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী’র কোনও খোঁজ মেলেনি। ১৯৭৫ সালে ‘‘নরেন্দ্র কুমার মহাবীর প্রসাদ মোদী’’ নামে এক জন ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা মহাবীর প্রসাদ মোদীর ছেলে। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি গুজরাতে।
কেজরীবালের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। কারণ, তিনি নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামাতেও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করার কথা বলেছেন।’’
সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, তারা ‘‘নরেন্দ্র কুমার মহাবীর প্রসাদ মোদী’’রও খোঁজ পেয়েছে। সেই মোদী জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির শ্রীরাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। বাবা তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর মতোই নাম দেওয়ায় তিনি গর্বিত। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কেজরীবাল। বল এ বার প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে। নিজের বিএ ডিগ্রি প্রকাশ করতে পারলে তবেই জিততে পারেন তিনি।