প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসের জাল বিছিয়ে দিয়েও এখন নেতার অভাবে ভুগছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা।
ক’দিন আগেই লস্করকে জোর ধাক্কা দিতে সফল হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত জুলাইয়েই অনন্তনাগ জেলায় অমরনাথ যাত্রীদের নিয়ে চলা বাসের উপর হামলার মাথা আবু ইসমাইলকে খতম করেছিল সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল।
কিন্তু তার পরে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তইবার মাথায় কেউ বসেনি। এমনকী ওই পদে বসতে কেউ রাজি হচ্ছে না বলেই দাবি করছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘শুনেছি লস্করের কম্যান্ডারের পদটি খালি রয়েছে। কিন্তু ওই পদ নিতে কেউ রাজি হচ্ছে না।’’ জল্পনা ছিল, আবু ইসমাইলের জায়গায় ২৮ বছর বয়সি জিনাত-উল-ইসলাম লস্করের দায়িত্ব নেবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন ডিজি।
উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ পদে এখনও পর্যন্ত যারাই এসেছে, সকলেই পাকিস্তানি। কিন্তু জিনাত দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার বাসিন্দা। কলা বিভাগের স্মাতক জিনাত ২০০৮ সালে জঙ্গি-যোগের কারণে পুলিশের জালে আসে। পাব্লিক সেফটি অ্যাক্ট-এ তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালে মুক্তির চার বছর পরে লস্করে যোগ দেয় সে। তার পর থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে সক্রিয় জিনাত। এখন আবু ইসমাইলের পরে ওই পদে তার নাম নিয়ে জল্পনা চলছে।
জঙ্গি সংগঠনের এই সঙ্কটের মধ্যেই উপত্যকার যুব সমাজকে নিজেদের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করে চলছে পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দাবি করেছেন, অন্তত ৬০ জন যুবককে সন্ত্রাসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছেন তাঁরা। এরা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে এগিয়ে গিয়েছিল।
পাশাপাশি জঙ্গি-মোকাবিলার ক্ষেত্রেও কৌশলী পদক্ষেপ করছে পুলিশ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে কিংবা সংঘর্ষের পরিস্থিতিতেও যদি কোনও জঙ্গি গুলি না চালায়, তা হলে তাকে প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগই দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের শীর্ষ কর্তা।